(১) তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতের উপরে বিশ্বাস দৃঢ় থাকার কারণেই ছাহাবায়ে কেরাম লোমহর্ষক নির্যাতনসমূহ বরণ করে নিতে সমর্থ হয়েছিলেন। অথচ নির্যাতনকারীরাও এসবে বিশ্বাসী ছিল বলে দাবী করত। প্রকৃত অর্থে তারা ছিল কপট বিশ্বাসী অথবা শিথিল বিশ্বাসী। এ যুগেও ঐরূপ মুসলমানেরা দৃঢ় বিশ্বাসী খাঁটি মুসলমানদেরকে ক্ষেত্র বিশেষে অনুরূপ নির্যাতন করে থাকে।
(২) প্রকৃত ও দৃঢ় বিশ্বাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সমাজ বিপ্লব সাধিত হয়। কপট, শিথিল বিশ্বাসী ও সুবিধাবাদীদের মাধ্যমে নয়। তাদের দুনিয়াবী জৌলুস যতই থাক না কেন।
(৩) বিশ্বাস ও কর্মের পরিবর্তন ব্যতীত সমাজের কাংখিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।
(৪) শুধু নেতা নয়, সাথে সাথে কর্মীদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও কুরবানীর মাধ্যমেই একটি মহতী আদর্শ প্রতিষ্ঠা লাভ করে থাকে।
(৫) যুলুম প্রতিরোধের বৈধ কোন পথ খোলা না থাকলে দৃঢ়ভাবে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর রহমত কামনা করাই হ’ল মুক্তির একমাত্র পথ।