(ক) আছহাবে কাহফ ও যুল-ক্বারনায়েন(السؤال عن اصحاب الكهف وذى القرنين) : তাঁকে ভন্ডনবী প্রমাণের জন্য কুরায়েশ নেতারা ইহূদীদের পরামর্শ মতে বিভিন্ন অতীত কাহিনী সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। যেমন- (১) আছহাবে কাহফের সেই যুবকদের ঘটনা, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে থেকে আবার জেগে উঠেছিল। (২) যুল-ক্বারনায়েন-এর ঘটনা, যিনি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমে সফর করেছিলেন। (৩) রূহ কি?
উক্ত প্রেক্ষিতে সূরা কাহফ নাযিল হয়। তবে এ বিষয়ে ইবনু ইসহাক থেকে যে বর্ণনা এসেছে, তা যঈফ। সেখানে বলা হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) নেতাদেরকে পরদিন জবাব দিবেন বলে ওয়াদা করেন। কিন্তু ‘ইনশাআল্লাহ’ বলেন নি। ফলে ১৫ দিন যাবৎ অহী নাযিল বন্ধ থাকে। পরে জিব্রীল এসে তাঁকে এজন্য তিরষ্কার করেন এবং সূরা কাহফ নাযিল করেন। কথাগুলির মধ্যে যেমন অযৌক্তিকতা রয়েছে, সনদেও রয়েছে তেমনি চরম দুর্বলতা।[1]
(খ) রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন(السؤال عن الروح) : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একবার কুরায়েশ নেতারা ইহূদী পন্ডিতদের বলল, তোমরা আমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দাও, যেটা আমরা এই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করব (এবং সে জবাব দিতে পারবে না)। তখন তারা বলল, তোমরা তাকে ‘রূহ’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। সেমতে তারা জিজ্ঞেস করল। তখন আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন,وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ‘আর ওরা তোমাকে প্রশ্ন করছে ‘রূহ’ সম্পর্কে। তুমি বলে দাও, রূহ আমার প্রতিপালকের একটি আদেশ মাত্র। আর এ বিষয়ে তোমাদের প্রতি সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে (ইসরা ১৭/৮৫)।[2] ‘রূহ’ সম্পর্কিত প্রশ্নটি পুনরায় মদীনায় ইহূদীরা করলে সেখানে একই জবাব দেওয়া হয়, যা মক্কায় সূরা বনু ইস্রাঈল ৮৫ আয়াত নাযিলের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল।[3]
[2]. তিরমিযী হা/৩১৪০, আহমাদ হা/২৩০৯, সনদ ছহীহ।
[3]. বুখারী, ফাৎহুল বারী হা/৪৭২১-এর আলোচনা; মুসলিম হা/২৭৯৪; তিরমিযী হা/৩১৪০।