(১) বিশ্বনবী ও শেষনবী হবার কারণেই বিশ্বকেন্দ্র মক্কাতে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে প্রেরণ করা হয়।
(২) সারা বিশ্বে তাওহীদের দাওয়াত দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তৎকালীন বিশ্বের সেরা বাণিজ্য কেন্দ্র ও যোগাযোগ কেন্দ্র আরব ভূখন্ডে শেষনবী প্রেরিত হন।
(৩) জান্নাতের ভাষা আরবী। আর সেই ভাষাতেই কুরআন নাযিল হয়েছে। তাই আল্লাহর ঘরের তত্ত্বাবধায়ক শুদ্ধভাষী আরব তথা কুরায়েশ বংশে শেষনবীর আগমন ঘটে। যাতে তিনি জান্নাতী ভাষায় মানবজাতিকে তার মূল আবাস জান্নাতের পথে আহবান জানাতে পারেন।
(৪) আধুনিক মুদ্রণযন্ত্র সে যুগে ছিল না। তাই প্রখর স্মৃতিধর আরবদের নিকটেই কুরআন ও সুন্নাহর অমূল্য নে‘মত সংরক্ষণের আমানত সোপর্দ করা হয়।
(৫) আরবরা ছিল আজন্ম স্বাধীন ও বীরের জাতি। সেকারণ বলা চলে যে, তৎকালীন রোমক ও পারসিক পরাশক্তির মুকাবিলায় ইসলামী খেলাফতের সফল বাস্তবায়নের জন্য শেষনবীর আগমনস্থল ও কর্মস্থল হিসাবে আরব ভূখন্ডকে বেছে নেওয়া হয়।