আহমদ (সা.)-এর অনুসারী যদি হয় ওয়াহাবী
তাহলে আমি স্বীকার করি যে, আমি ওয়াহাবী।
আল্লাহ থেকে শরীক খন্ডন করি, সুতরাং নেই আমার
একমাত্র আল-ওয়াহহাব’ (মহাদাতা আল্লাহ) ব্যতীত কোন প্রভু।
না কোন গম্বুজ (মাযারের) নিকট আশা আর না কোন মূর্তি।
ও কবর (বিপদমুক্তি ও সুখ অর্জনের) হেতু।
কক্ষনই না, না পাথর, না কোন বৃক্ষ, না নির্ঝর,
আর না কোন প্রতিষ্ঠিত বেদী (আস্তানা আমার বিপত্তারণ)।
আমি তা'বীয (কবচ)ও বাঁধিনা। বালা, কড়ি (জীবশাক),
কিছুর দাঁত (বা হাড়)ও উপকারের আশায় অথবা বিপদ।
অপসারণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করি না।
আল্লাহই আমাকে উপকৃত করেন এবং আমার বিপদ দূর করেন।
বিদআত এবং দ্বীনে রচিত অভিনব প্রত্যেক কর্মকে
জ্ঞানীগণ অস্বীকার ও খন্ডন করেন।
আমি আশা রাখি যে, আমি তার নিকটবর্তী হব না।
এবং তাকে দ্বীন বলে সমর্থন করবো না, কারণ তা তো সঠিক নয়।
আমি আশ্রয় চাই জাহমিয়াত থেকে যা হতে
প্রত্যেক সন্দেহ পোষণকারী অপব্যাখ্যাতার মতভেদ সীমালংঘন করেছে।
আল্লাহর আরশে সমারূঢ় থাকা এক কুদরত। এ ব্যাপারে আমার জন্য
মহা মতি ইমামগণের কথাই যথেষ্ট;
শাফেয়ী, মালেক, আবু হানীফাহ এবং মুত্তাকী আল্লাহ-মুখী ইবনে হাম্বল।
কিন্তু বর্তমানে যে রাখে এই আকীদাহ ও বিশ্বাস
লোকেরা শোর করে তার প্রসঙ্গে বলে, ‘আকারবাদী ওয়াহাবী!”
হাদীসে বর্ণিত যে, ইসলামের অনুসারী মানুষ (প্রবাসীর মত) মুষ্টিমেয়
তাই প্রিয়ের উচিত, মুষ্টিমেয় প্রীতিভাজনদের জন্য রোদন করা!
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন ও আমাদের দ্বীন সংরক্ষণ করুন।
গালি-মন্দকারী প্রত্যেক হঠকারীর মন্দ হতে।
আর তিনি একনিষ্ঠ দ্বীনের সাহায্য করুন।
কিতাব ও সুন্নাহর অনুসারী জামাআত দ্বারা।
যারা কারো রায় ও কিয়াসের অনুকরণ করেন না।
যাদের জন্য দুই অহীই আশ্রয়স্থল।
মনোনীত (নবী (সা.) যাদের প্রসঙ্গে সংবাদ দিয়ে বলেছেন, তাঁরা পরিজন ও সঙ্গীদের মধ্যে অনন্যসাধারণ।
তারা সৎপথের পথিক (সাহাবা)দের পথ ধরে চলেন।
আর সঠিকতা নিয়ে তাঁদের মতাদর্শের অনুগমন করেন।
এ জন্যই অতিরঞ্জনকারীরা তাদের নিকট হতে দুরে
সরে যায়। আমরা বলি, তা তো আশ্চর্যের কিছু নয়।
তারাও দুরে সরে গেছে, যাদেরকে সৃষ্টির সেরা আহবান করেছিলেন।
তখন তারা তাঁকে যাদুকর ও মিথ্যক বলে অভিহিত করেছিল।
অথচ তারা তার আমানতদারী, ধর্ম, সম্মান ও কথার
সত্যবাদিতায় বিশ্বাসী ছিল।
আল্লাহ তার উপর চিরস্থায়ী করুণা বর্ষণ করুন।
আর তার বংশধর এবং সাহাবাবর্গের উপরেও। (আমীন)
-শায়খ মুল্লা উমরান