‘তওহীদ পত্রিকায় ‘দসূকী প্রসঙ্গে কুসংস্কার’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে-

“সা-বীর টীকায় লিখিত যে, তিনি (দসুকী) সর্বপ্রকার ভাষায় কথা বলতেন; অনারবী, সিরিয়, পশু-পক্ষীর ভাষা প্রভৃতি। তিনি মাতৃক্রোড়ে রোযা রেখেছেন, ‘লওহে মাহফু’ দর্শন করেছেন, তার পায়ের জন্য পৃথিবী সঙ্কুলান নয়, তিনি তাঁর মুরীদ (ভক্তের) নামকে দুর্ভাগ্য হতে সৌভাগ্যের (খাতায়) স্থানান্তরিত করেন, পৃথিবীকে তার হস্তে অঙ্গুরীয়র মত করে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি *সিরাতুল মুন্তাহা’ অতিক্রম করেছেন।”

অথচ এসব কথাগুলি অলীক এবং বাতিল; যা অজ্ঞ ও মুখ ব্যতীত অন্য কেউ বিশ্বাস করবে না। বরং এসব স্পষ্ট কুফর। কি ভাবে ‘লওহে মাহফু’ সম্পর্কে অবগত হলেন, যে বিষয়ে সৃষ্টির সর্দার অবগত ছিলেন না?

আর কি রূপেই বা তিনি তাঁর ভক্ত দরবেশদের নাম দুর্ভাগ্য হতে সৌভাগ্যে স্থানান্তরিত করেন?

এসবের প্রত্যেকটাই কুসংস্কার ও অমূলক ধারণা মাত্র; যা সূফী (দরবেশ) পন্থীরা গর্বের সাথে বর্ণনা করে থাকে। অথচ তাদের এ হুঁশ নেই যে, তারা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে অবস্থান করে।

সুতরাং প্রিয় পাঠক! এই শ্রেণীর কুসংস্কারমূলক বই-পুস্তক পাঠ করা হতে সাবধান হন। শা’রানীর আত্ব-ত্ববাকাতুল-কুবরা, খাযীনাতুল-আসরার, নুহাতুল-মাজালিস, আর-রওযুল-ফায়েক, গাযালীর মুকাশাফাতুল -কুলুব, সাআলাবীর আল-আরায়েস প্রভৃতি। যেহেতু এসবগুলি এমন বই যা প্রতিবাদ ও খন্ডন উদ্দেশ্য ছাড়া পাঠ করা, ছাপা ও ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম।