এমনিতে প্রত্যেক মহাপাপ ও অতি মহাপাপই জাহান্নামীর কাজ। তবে মহাপাপ আল্লাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করতে পারেন, নচেৎ শাস্তি ভোগাতে পারেন। তবে অতি মহাপাপ অমার্জনীয় অপরাধ। যে যে কাজের জন্য জাহান্নাম যেতে হবে, তার কিছু নিম্নরূপঃ
কুফরী করা, শির্ক করা, বিদআত করা, কপটতা করা, আল্লাহ বা তার রসূলের নামে মিথ্যা বলা, মিথ্যা কথা বলা, হিংসা করা, আমানতে খিয়ানত করা, যুলুম করা, ব্যভিচার করা, ধোকা দেওয়া, ফাঁকি দেওয়া, আত্মীয়তার বন্ধন ছেদন করা, জিহাদ বর্জন করা, কার্পণ্য করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া, আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা, বিপদে অধৈর্য হওয়া, গর্ব করা, অহংকার করা, আল্লাহর কোন ফরয ত্যাগ করা, কোন নিষিদ্ধ কর্ম করা, তার সীমা লংঘন করা, আল্লাহর মত অন্য কাউকে ভালবাসা অথবা ভয় করা, আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপর ভরসা রাখা, লোকদেখানি কাজ করা, বাতিলের পক্ষপাতিত্ব করা, আল্লাহ, রসূল (ﷺ) বা দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা, সত্য প্রত্যাখ্যান করা, সত্য গোপন করা, সত্য সাক্ষ্য না দেওয়া, যাদু করা, মা-বাপের অবাধ্য হওয়া, স্বামীর অবাধ্য হওয়া, অবৈধ প্রাণ হত্যা করা, এতীমের মাল ভক্ষণ করা, সুদ খাওয়া, ঘুস খাওয়া, চুরি-ডাকাতি করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা, মিথ্যা কলঙ্ক রটানো, অপবাদ দেওয়া, ইত্যাদি।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “জাহান্নামবাসী পাঁচ ব্যক্তি; (১) সেই দুর্বল শ্রেণীর ব্যক্তি, যার (পাপ ও অন্যায় থেকে দুরে থাকার মত) জ্ঞান নেই। যারা তোমাদের অনুগত, যারা পরিবার চায় না, ধন-সম্পদও চায় না। (২) খিয়ানতকারী ব্যক্তি, যে তুচ্ছ কোন জিনিসের লোভে পড়লেই তাতে খিয়ানত করে। (৩) এমন ব্যক্তি, যে সকাল-সন্ধ্যায় তোমার পরিবার ও সম্পদের ব্যাপারে ধোকা দেয়। (৪) কৃপণ ব্যক্তি এবং (৫) দুশ্চরিত্র চোয়াড়।” (মুসলিম ৭৩৮৬নং)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, কোন আমল মানুষকে বেশি জান্নাতে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, “আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র।” আর তাঁকে (এটাও) জিজ্ঞাসা করা হল যে, কোন আমল মানুষকে বেশি জাহান্নামে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, “মুখ ও যৌনাঙ্গ (অর্থাৎ, উভয় দ্বারা সংঘটিত পাপ)।” (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে)