জান্নাতের যেমন আটটি দরজা আছে, তেমনি জাহান্নামের দরজা আছে সাতটি। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ أَجْمَعِينَ (43) لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَابٍ لِّكُلِّ بَابٍ مِّنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُومٌ
অর্থাৎ, অবশ্যই (শয়তানের অনুসারীদের) তাদের সবারই প্রতিশ্রুত স্থান হবে জাহান্নাম। ওর সাতটি দরজা আছে; প্রত্যেক দরজার জন্য তাদের মধ্য থেকে পৃথক পৃথক দল আছে। (হিজরঃ ৪৩-৪৪)
হিসাবের পর দলে দলে কাফেরদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। জাহান্নামের নিকটে পৌছনো মাত্র তার দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَسِيقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَىٰ جَهَنَّمَ زُمَرًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا جَاءُوهَا فُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ آيَاتِ رَبِّكُمْ وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَاءَ يَوْمِكُمْ هَٰذَا ۚ قَالُوا بَلَىٰ وَلَٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ عَلَى الْكَافِرِينَ (71) قِيلَ ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ
অর্থাৎ, সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন ওরা জাহান্নামের নিকট উপস্থিত হবে, তখন তার দরজা খুলে দেওয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা ওদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রসূল আসেনি; যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করত? ওরা বলবে, অবশ্যই এসেছিল। কিন্তু সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি শাস্তির বাক্য বাস্তবায়িত হয়েছে। ওদেরকে বলা হবে, জাহান্নামে স্থায়ীভাবে বাস করার জন্য তোমরা ওতে প্রবেশ কর। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল!’ (যুমারঃ ৭১-৭২)
জাহান্নামে প্রবিষ্ট হলে তার দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখান থেকে বের হওয়ার কোন পথ থাকবে না কাফেরদের। মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا هُمْ أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ (19) عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌ
অর্থাৎ, পক্ষান্তরে যারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করেছে, তারাই হল হতভাগ্য। তাদের উপরই রয়েছে অবরুদ্ধ অগ্নি। (বালাদঃ ১৯-২০)
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ (8) فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ (9)
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই তা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে। দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে। (হুমাযাহঃ ৮-৯)।
অবশ্য কিয়ামতের পূর্বে সে দরজাসমূহ খোলা ও বন্ধ করা হয়। যেমন নবী (ﷺ) বলেছেন, “মাহে রমযানের আগমন ঘটলে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)