আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে বস্ত্র আচ্ছাদনকারী (নবী)! উপাসনার জন্য রাত্রিতে উঠ (জাগরণ কর); রাত্রির কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা অল্প। অথবা তদপেক্ষা বেশী। কুরআন তেলাঅত কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। আমি তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী। ইবাদতের জন্য রাত্রি জাগরণ গভীর অভিনিবেশ ও হৃদয়ঙ্গম করার পক্ষে অতিশয় অনুকূল।” (কুঃ ৭৩১-৫)
“আর রাত্রের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামায পড়বে --- এ তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে এক প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।” (কুঃ ১৭/৭৯)
“রাত্রিতে তাঁর প্রতি সিজদাবনত হও এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।” (কুঃ ৭৬/২৬)
আল্লাহ তাআলা প্রত্যহ রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে নীচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, “কে আমাকে ডাকে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার নিকট প্রার্থনা করে? আমি তাকে দান করব। এবং কে আমার নিকট ক্ষমা চায়? আমি তাকে ক্ষমা করব।” (বুখারী, মুসলিম মিশকাত ১২২৩নৎ)
মধ্য রাত্রির শেষাংশে আল্লাহ বান্দার অতি নিকটবর্তী হন। তাই ঐ সময়ে বান্দার উচিত তার উদ্দেশ্যে নামায পড়া ও যিকর করা। প্রত্যেক রাত্রে এমন এক মুহূর্ত আছে যাতে আল্লাহর কাছে বান্দা যা চায়, তাই পেয়ে থাকে। রাত্রিতে ঘুম থেকে জেগে কেউ যদি নিমের দুআ পড়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তাহলে তা মঞ্জুর করা হয়।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْم
উচ্চারণঃ- “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহু হামদু অহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লা-হি অলহামদু লিল্লা-হি অলা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল আলিয়্যিল আযীম।
অর্থ-পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পর উঠে যদি ওযু করে নামায পড়ে তবে নামায কবুল হয়।
অনুরূপভাবে রাত্রিকালে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠে সূরা আল ইমরানের ১৯০ আয়াত থেকে শেষ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করা উত্তম। (বুঃ ৮/২৩৫, মুঃ ১৫৩০)