নিম্নলিখিত সময়, স্থান ও অবস্থায় দুআ কবুল করা হয় বলে হাদীস-সূত্রে জানতে পারা যায়ঃ
শবেকদরে, রাত্রির শেষ তৃতীয়াংশে, ফরয নামাযের পশ্চাতে (সালাম ফিরার পূর্বে), আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তীকালে, ইকামত হলে, রাত্রের কোন এক মুহূর্তে, জুমআর রাত্রি-দিনের কোন এক মুহুর্তে, ফরয নামাযের জন্য আযান দেওয়ার সময়, বৃষ্টি বর্ষণের সময়, জিহাদে হানাহানি চলা কালে, সত্য নিয়তে ও দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে যমযম পানি পান করার সময়, সিজদারত অবস্থায়, রাত্রি কালে ঘুম থেকে জেগে লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদীর। আল হামদু লিল্লা-হ, সুবহা-নাল্লাহ, অলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ, অল্লা-হু আকবার, অলা হাওলা অলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ বলে দুআ করার সময়, ওযু করে ঘুমিয়ে রাত্রে জেগে দুআ করার সময়, ইসমে আযম দ্বারা দুআ করার সময়, কারো মৃত্যুর পর, শেষ তাশাহহুদে আল্লাহর প্রশংসা করে ও নবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করে দুআ করার সময়, কারো অনুপস্থিতিতে তার জন্য কেউ দুআ করার সময়, রমযান মাসে, যিকরের মজলিসে, বিপদের সময়, ‘ইন্না লিল্লাহ------ আল্লাহুম্মা’জুরনী-----’ পড়ার সময়, নির্মল ইখলাস ও আল্লাহর প্রতি হৃদয়ের পরম ভক্তি ও চরম আগ্রহের সময়, অত্যাচারিত অত্যাচারীর উপর বদুআ করলে, পিতামাতা পুত্রের জন্য দুআ অথবা বন্দুআ করলে, মুসাফির দুআ করলে, রোযাদার। দুআ করলে, আর্তব্যক্তি দুআ করলে, ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ দুআ করলে, কাবাঘরের ভিতরে, সাফার উপর, মারওয়ার উপর, আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে, মাশআরুল হারামের নিকট, মিনায় ছােট ও মধ্যম জামরায় পাথর মারার পর, ইস্তিফতাহে নির্দিষ্ট দুআ পাঠ করলে, সূরা ফাতেহা পাঠ করার সময় ও শেষে আমীন বলার সময়, রুকু থেকে মাথা তুলে ইত্যাদি। (আদ দুআ মিনাল কিতাবি অস্ সুন্নাহ ১০-১৫)