আল্লাহর যিকর ও স্মরণে শতাধিক উপকার ও লাভ রয়েছে। যেমন, যিকর শয়তান দূর করে, রহমানকে সন্তুষ্ট করে, অন্তর থেকে দুশ্চিন্তা দূর করে ও অশান্তি অপসারণ করে, হৃদয়ে প্রশান্তি ও উৎফুল্লতা আনে, দেহ-মনকে সবল করে, চিত্তকে জ্যোতির্ময় করে, মুখমণ্ডলকে দীপ্তিময় করে, রুজী আনয়ন করে, আল্লাহর ভালোবাসা দান করে, জীবনে আল্লাহর ভীতি আনে, মু’মিনকে আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করায়, আল্লাহর সামীপ্য প্রদান করে, মারেফাতের দ্বার উন্মুক্ত করে, আল্লাহর স্মরণ দান করে, অন্তর জীবিত করে, আত্মা ও অন্তরকে আহার প্রদান করে, পাপমুক্ত করে, বহু উদ্বেগ দুরীভূত করে, আল্লাহর আযাব ও গযব থেকে নিস্তার দেয়, শান্তি ও রহমত আনে, পরচর্চা, গীবত, চুগলী, গালি, মিথ্যা, অশ্লীলতা, বাজে ও অসার কথা থেকে দুরে রাখে, কিয়ামতে পরিতাপ থেকে নিষ্কৃতি দেয়, নির্জনে ক্রন্দনের সাথে যিকরকারীকে ছায়াহীন কিয়ামতে আল্লার আরশ তলে ছায়া দান করে, হৃদয়ের শূন্যতা ও প্রয়োজন দূর করে, মু’মিনকে সতর্ক ও সংযমী করে, বন্ধুত্ব, প্রেম, সাহায্য ও প্রেরণার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গতা দান করে, অত্যাধিক নেকী ও পুরস্কারের অধিকারী করে, হৃদয়ের কঠোরতা দূর করে, মনের রোগ নিরাময় করে।
যিকরকারীর জন্য ফিরিশতা দুআ করেন, যিকরের মজলিস ফিরিশ্তাবর্গের মজলিস, যিকরকারীদের নিয়ে আল্লাহ তাআলা ফিরিশ্তাবর্গের নিকট গর্ব করেন। যিকর শোকরের মস্তক, যিকর দুআকে কবুলের যােগ্য করে, মু'মিনকে আল্লাহর আনুগত্যে সহায়তা করে, মুশকিল আসান করে, বিপদ ও বালা দূর করে, অন্তর থেকে সৃষ্টির ভয় দূর করে, মেহনতের কাজে শক্তি প্রদান করে, যিকরে আছে মিষ্ট স্বাদ, আল্লাহর প্রেম ইত্যাদি। (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য, আল-ওয়া-বিলুস স্বইয়িব, ইবনুল কাইয়্যেম)।