বড় শির্ক ও ছোট শির্ক বড় শির্কের প্রকারভেদ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
২৯. একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়াও অন্য কেউ কারোর অন্তরে কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে এমন মনে করার শির্ক

একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই যে কারোর অন্তরে যে কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। অন্য কেউ নয়।

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُـوْا اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ لِـمَا يُحْيِيْكُمْ، وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ يَحُوْلُ بَيْنَ الْـمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ»

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূল (সা.) এর হুকুম পালন করো যখন তিনি তোমাদেরকে কোন বিধানের প্রতি আহবান করেন যা তোমাদের মধ্যে সত্যিকারের নব জীবন সঞ্চার করবে। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকেন (অর্থাৎ তাঁর হাতেই মানুষের অন্তর। তাঁর যাই ইচ্ছা তাই করেন) এবং পরিশেষে তাঁর কাছেই সবাইকে সমবেত হতে হবে’’। (আন্ফাল : ২৪)

শাহ্র বিন্ ’হাউশাব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

قُلْتُ لِأُمِّ سَلَمَةَ: يَا أُمَّ الْـمُؤْمِنِيْنَ! مَا كَانَ أَكْثَرُ دُعَاءِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ عِنْدَكَ؟ قَالَتْ: كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ: يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ! ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ، قَالَتْ: فَقُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! مَا أَكْثَرَ دُعَاءَكَ: يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ! ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ؟! قَالَ: يَا أُمَّ سَلَمَةَ! إِنَّهُ لَيْسَ آدَمِيٌّ؛ إِلاَّ وَقَلْبُهُ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللهِ ؛ فَمَنْ شَاءَ أَقَامَ، وَمَنْ شَاءَ أَزَاغَ، فَتَلاَ مُعَاذٌ: «رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا»

‘‘আমি উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) কে বললাম: হে উম্মুল মু’মিনীন! আপনার নিকট থাকাবস্থায় রাসূল (সা.) অধিকাংশ সময় কি দো’আ করতেন? তিনি বললেন: অধিকাংশ সময় রাসূল (সা.) বলতেন: হে অন্তর নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনি ইসলামের উপর অটল অবিচল রাখুন। উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন: আমি বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আপনাকে দেখছি আপনি অধিকাংশ সময় উপরোক্ত দো’আ করেন। মূলতঃ এর রহস্য কি? রাসূল (সা.) বললেন: হে উম্মে সালামাহ্! প্রতিটি মানুষের অন্তর আল্লাহ্ তা’আলার দু’টি আঙ্গুলের মধ্যে অবস্থিত। ইচ্ছে করলে তিনি কারোর অন্তর সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আর ইচ্ছে করলে তিনি কারোর অন্তর বক্র পথে পরিচালিত করেন। বর্ণনাকারী মু’আয বলেন: এ জন্যই আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে সর্বদা তাঁর নিকট নিম্নোক্ত দো’আ করতে আদেশ করেন যার অর্থ: (তিরমিযী, হাদীস ৩৫২২)

হে আমার প্রভু! আপনি আমাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন। অতএব আমাদের অন্তরকে আর বক্র পথে পরিচালিত করবেন না।