বড় শির্ক ও ছোট শির্ক ভারত উপমহাদেশে শির্ক প্রচলনের বিশেষ কারণসমূহ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি

বর্তমান যুগের তাবলীগ জামাতও শির্ক এবং বিদ্’আত বিস্তারে কম ভূমিকা রাখছেনা। বরং তা ওয়ায মাহফিল চাইতেও আরো ভয়ঙ্কর। কারণ, ওয়ায মাহফিল তো সাধারণত আলিমরাই করে থাকেন। যদিও তাদের কেউ নামধারী আলিম হোকনা কেন। কোন গন্ড মূর্খ ওয়ায মাহফিল করতে সাহস পায়না। তবে ইলিয়াস (রাহিমাহুল্লাহ্) এর আবিষ্কৃত তাবলীগ জামাত মূর্খদের নসীব ভালোভাবেই খুলে দিয়েছে। কারণ, যে কোন গন্ড মূর্খ যে কোন কথা ‘‘মুরুববীরা বলেছেন’’ বলে ইসলামের নামে চালিয়ে দিতে পারে। কেউ তাতে কোন বাধা দিচ্ছেনা। মূর্খদেরকে দাওয়াতী কাম শিক্ষা দেয়ার নামে ধর্মীয় ব্যাপারে কথা বানানোর খুব শক্ত তা’লীম দেয়া হচ্ছে। অথচ রাসূল (সা.) নিজ উম্মতকে সুস্পষ্টভাবেই সতর্ক করে বলেন:

مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছে করে আমার উপর মিথ্যে বলেছে (আমার নামে এমন কথা বলেছে যা আমি বলিনি) সে যেন জাহান্নামে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নেয় (সে জাহান্নামী)’’। (বুখারী, হাদীস ১০৭, ১১০, ১২৯১, ৩৪৬১, ৬১৯৭)

এ ছাড়া তারা ‘‘তাবলীগী নেসাব’’ বা ‘‘ফাযায়িলে আ’মাল’’ নামে যে কিতাবগুলো নিয়মিতভাবে মানুষকে পড়ে পড়ে শুনাচ্ছে সেগুলোকে শির্ক, বিদ্’আত ও কেচ্ছা-কাহিনীর কিতাব বললেই চলে। এ কিতাবগুলো তাবলীগী ভাইদেরকে কেচ্ছা নির্ভরশীল একটি জামাতে পরিণত করেছে। এ ছাড়া আর অন্য কিছু নয়। যা শির্ক ও বিদ্’আতে ভরপুর। এ কিতাবগুলোর বেশির ভাগ জায়গাটুকুই দখল করে আছে দুর্বল ও জাল হাদীস এমনকি অহেতুক ও যুক্তিহীন কেচ্ছা-কাহিনী। হয়তোবা তাবলীগের মুরুববীগণ একদা অতি সরলতার দরুন কিংবা মূর্খদেরকে নেক আমল ও কল্যাণের কাজে অতি দ্রুত উৎসাহিত করার নেশায় পড়ে ফাযায়েল সাপ্লাই দিতে গিয়ে সত্যতা ও বিশুদ্ধতার তোয়াক্কা করেননি। তবে যেখানে এ আমলগুলোর অধিকাংশই বিশুদ্ধ হাদীস কর্তৃক প্রমাণিত সেখানে এ দীর্ঘকাল পর্যন্ত তাদের এ জাতীয় অশুদ্ধ হাদীস ও অযুক্তিক কেচ্ছা-কাহিনীর উপর নির্ভরশীল হওয়া এমনকি কখনো কখনো দা’ওয়াতের ফযীলত বুঝাতে গিয়ে তাদের বিশিষ্টজনদের মুখ থেকে বিশুদ্ধ কুর’আন ও হাদীসের অপব্যাখ্যা দেয়া সত্যিই তাদের মূর্খতা ও অন্ধত্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বস্ত্ততঃ তাদের দা’ওয়াত কর্তৃক বিপুল সংখ্যক অমোসলমানের মোসলমান হওয়া কিংবা আল্লাহ্ তা’আলার অবাধ্যতার পথ ছেড়ে বাধ্যতার পথে ফিরে আসা সত্যিই অনস্বীকার্য। তবে দ্বীনের উপর উঠার পর দ্বীনের নামে বদ্দ্বীনির উপর অটলতা ও অন্ধত্ব কোন বিজ্ঞজনের নিকট কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। আশা করি বুদ্ধিমান ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পরিপক্ক আলিম মুরুববীগণ এ ব্যাপারটি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।