এ ব্যাপারে যথেষ্ট দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَلَكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمْ الإيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ
‘‘কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অন্তরে ঈমানের মুহাববত সৃষ্টি এবং তা তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করে দিয়েছেন’’ (সূরা হুজরাতঃ ৭) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ
‘‘তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন কর’’। (সূরা আ’রাফঃ ১৫৮) এটিই হচ্ছে (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং (محمد رسول الله- মুহাম্মাদুর্ রাসূলুল্লাহ) এ কথার সাক্ষ্য দেয়ার অর্থ। এ দু’টি বিষয়ের সাক্ষ্য দেয়া ব্যতীত কোন বান্দাই ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। বিশ্বাসের দিক থেকে উপরোক্ত দু’টি বিষয়ের সাক্ষ্য দেয়া অন্তরের কাজ এবং উচ্চারণের দিক থেকে বিচার করলে এ দু’টি জবানের কাজ। অন্তর এবং জবানের স্বীকারোক্তি ও আমল এক সাথে পাওয়া না গেলে ঈমান হবে মূল্যহীন। আমলের অপর নাম যে ঈমান সে দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ
‘‘আল্লাহ তোমাদের ঈমানকে নষ্ট করবেন না’’। (সূরা বাকারাঃ ১৪৩) অর্থাৎ কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে বাইতুল মাকদিসের দিকে ফিরে তোমাদের আদায়কৃত নামাযকে নষ্ট করবেন না। আল্লাহ তা’আলা এখানে নামাযকে ঈমান বলে নামকরণ করেছেন। আর নামায হল অন্তর, জবান এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মের সমষ্টিগত নাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জেহাদ, লাইলাতুল কদরের এবাদত, রামাযানের রোজা, তারাবীর নামায এবং গণীমতের মালের এক পঞ্চমাংশ দান করে দেয়া এবং অন্যান্য আমলকে ঈমান হিসাবে গণ্য করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলঃ
أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ)
‘‘কোন্ আমলটি উত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করা।[1]