(لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এর মর্মার্থকে অন্তর দিয়ে ভালবাসা ও তা কবুল করে নেয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর অন্যতম শর্ত। কুরআন ও হাদীছ শরীফে এ মর্মে অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ
‘‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের মধ্যে থেকে যদি কেউ স্বীয় দ্বীন থেকে ফিরে যায়, তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালবাসবে’’। (সূরা মায়িদাঃ ৫৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
( ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ)
‘‘তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান থাকবে, সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হবে।
(১) যার মধ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের ভালবাসা অন্যান্য সকল বস্ত্ত হতে অধিক পরিমাণে থাকবে।
(২) যে ব্যক্তি কোন মানুষকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ভালবাসে।
(৩) যে ব্যক্তি ঈমান গ্রহণের পর কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে তেমনই অপছন্দ করে, যেমন অপছন্দ করে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে’’।[1]