যারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ)এর মর্মার্থকে কবুল করে নেয় নি, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ إلى قوله- إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ * وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَجْنُونٍ
‘‘একত্রিত কর যালেমদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং এরা যাদের এবাদত করত (তাদেরকেও)। তাদেরকে যখন বলা হত তোমরা বলঃ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই) তখন তারা অহংকার করত এবং তারা বলতঃ আমরা কি একজন পাগল কবির কথায় আমাদের মা’বুদদেরকে পরিত্যাগ করব? (সূরা আস্ সাফফাতঃ ২২-৩৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
مَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ كَمَثَلِ الْغَيْثِ الْكَثِيرِ أَصَابَ أَرْضًا فَكَانَ مِنْهَا نَقِيَّةٌ قَبِلَتِ الْمَاءَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلأَْ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَكَانَتْ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللَّهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا وَأَصَابَتْ مِنْهَا طَائِفَةً أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لاَ تُمْسِكُ مَاءً وَلاَ تُنْبِتُ كَلَأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللَّهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَلَّمَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللَّهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ)
‘‘মহান আল্লাহ আমাকে যে হেদায়াত এবং ইল্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন, তার উদাহরণ হল ঐ বৃষ্টির ন্যায় যা কোন যমিনে বর্ষিত হল। উক্ত যমিনের কিছু অংশ ছিল খুবই ভাল ও উর্বর। সে যমিন পানি ধারণ করে প্রচুর ঘাস, তৃণলতা ও শাক-সব্জি উৎপন্ন করল। যমিনের অন্য অংশ ছিল খুবই শক্ত। তা পানি ধারণ করে রাখল। উহা দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার করলেন। মানুষেরা তা পান করল, চতুষ্পদ জন্তুকে পান করালো এবং চাষাবাদও করল। সেই বৃষ্টির কিছু পানি যমিনের এমন এক অংশে পতিত হল, যা ছিল পাথরযুক্ত ময়দান। সে পানি ধরে রাখতে পারে না এবং কোন তৃণলতাও উৎপন্ন করতে পারেনা।
সুতরাং এটিই হল ঐ ব্যক্তির উদাহরণ যে ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীন বুঝতে সক্ষম হয়েছে এবং আমাকে আল্লাহ যে হেদায়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন, তা দ্বারা উপকৃত হয়েছে। তাই সে নিজে উহা শিক্ষা করেছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে।
এই বৃষ্টির উদাহরণ ঐ ব্যক্তির জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে, যে ব্যক্তি দ্বীনী জ্ঞান অর্জনের জন্য চেষ্টা করেনি এবং আমাকে আল্লাহ যে হেদায়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন তা কবূলও করেনি।[1]