আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَمَنْ يُسْلِمْ وَجْهَهُ إِلَى اللَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى
‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لا يؤمن أحدكم حتى يكون هواه تبعا لما جئت به
‘‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমার আনীত জীবন বিধানের পূর্ণ অনুসারী হবে।[1] এই মর্মে আরো অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
فَلْيَحْذَرْ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘‘অতএব, যারা তাঁর নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, ফিতনা (বিপর্যয়) তাদেরকে গ্রাস করবে অথবা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি তাদেরকে আক্রমণ করবে’’। (সূরা নূরঃ ৬৩) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
‘‘আপনার প্রভুর শপথ! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ফয়সালাকারী মেনে নিবে। অতঃপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে তাদের মনে কোন প্রকার সংকীর্ণতা পাবে না এবং আপনার ফয়সালা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিবে’’। (সূরা নিসাঃ ৬৫) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمْ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا
‘‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণের ক্ষমতা নেই। (সূরা আহযাবঃ ৩৬) এ ছাড়া আরো অনেক দলীল রয়েছে।