প্রশ্নঃ (১৯৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণীঃ ‘‘ব্যাপারটি আল্লাহর ইচ্ছাধীন। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিবেন আর ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন- এই হাদীছ এবং অন্য একটি হাদীছ যেখানে বলা হয়েছে, যার গুনাহ নেকীর তুলনায় বেশী হবে সে জাহান্নামে যাবে। প্রকাশ্যভাবে উভয় হাদীছের মধ্যে দ্বন্দ পরিলক্ষিত হয়। এই দ্বন্দের সমাধান কী?

উত্তরঃ আসলে উভয় হাদীছের মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। কেননা আল্লাহ্ তাআলা যাকে ক্ষমা করার ইচ্ছা পোষণ করবেন, তার হিসাব সহজ করে দিবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই হিসাবকে শুধু আরয হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ দয়াময় আল্লাহর নিকট কেবল তার আমলগুলো পেশ করা হবে। এই হিসাবের ধরণ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(يَدْنُو أَحَدُكُمْ مِنْ رَبِّهِ حَتَّى يَضَعَ كَنَفَهُ عَلَيْهِ فَيَقُولُ: عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ: نَعَمْ وَيَقُولُ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ: نَعَمْ فَيُقَرِّرُهُ ثُمَّ يَقُولُ إِنِّي سَتَرْتُ عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ)

‘‘কিয়ামতের দিন মু’মিন তার প্রতিপালকের নিকটবর্তী হবে। আল্লাহ্ তার কাঁধে স্বীয় হাত রেখে বলবেনঃ তুমি কি এই এই গুনাহ করেছিলে? সে স্বীকার করবে এবং বলবেঃ হ্যাঁ, আমার স্মরণ আছে। আমি এগুলো করেছি। দ্বিতীয়বারও আল্লাহ্ তাআলা তাকে স্বীকার করাবেন। সেও স্বীকার করবে। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বলবেনঃ আমি দুনিয়াতে তোমার এই কাজগুলো গোপন রেখেছি। আর আমি আজ তোমাকে এগুলো ক্ষমা করে দিব’’।[1]

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাওহীদ।