উত্তরঃ পূর্ববর্তী কতিপয় নেককার আলেমের মতে কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ লিখে রোগীর শরীরে ব্যবহার করা জায়েয। তবে অধিকাংশ আলেমের মতে তা নিষিদ্ধ। যারা এমত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আকীম, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ ও তাঁর সাথীগণের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ মতটিই বিশুদ্ধ। কারণ সকল প্রকার তাবীজ লটকানোর নিষিদ্ধতা বর্ণিত হয়েছে। কুরআন দ্বারা লিখা হলে তা বৈধ হবে এরকম কোন মারফু হাদীছ বর্ণিত হয় নি।
কুরআন দ্বারা তাবীজ ব্যবহার করা হলে কুরআনের অবমাননা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অধিকাংশ সময় অপবিত্র অবস্থায় তা বহন করবে, তা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করবে এবং অপবিত্র স্থানে গমণ করবে। এতে করে কুরআনের সম্মান ও ইজ্জত নষ্ট হবে। তাছাড়া কুরআন দ্বারা তাবীজ ব্যবহর করা জায়েয হওয়ার ফতোওয়া দিলে লোকেরা কুরআন ব্যতীত অন্য বস্ত্ত দ্বারা তাবীজ ব্যবহার শুরু করবে, যা কোন অবস্থাতেই জায়েয হতে পারে না।
হারাম ও নিষিদ্ধ বস্ত্তর উপর থেকে মানুষকে ফেরানোর জন্যে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য বস্ত্ত হতে মানুষের অন্তর ফেরানোর জন্যেও কুরআন দ্বারা তাবীজ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হওয়ার আরেকটি কারণ।
বিশেষ করে বর্তমান সময়ে চতুর্দিকে শির্কের সয়লাব বয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহ্ তাআলা ব্যতীত অন্য বস্ত্তর উপর মানুষের বিশ্বাস ও ভরসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপরোক্ত কারণে কুরআন ও অন্যান্য দুআর মাধ্যমে তাবীজ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।