উত্তরঃ বড় নিফাকের উদাহরণ হচ্ছে যা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি। আল্লাহ্ তাআ’লা সূরা বাকারা শুরুতে বলেনঃ
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ * يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلاَّ أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ * فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ إلى قوله -كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ
‘‘আর মানুষের মধ্যে এমন লোক আছে, যারা বলেঃ আমরা আল্লাহর উপর এবং বিচার দিবসের উপর ঈমান এনেছি। অথচ তারা মোটেই ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহ্ এবং মুমিনদের সাথে প্রতারণা করে। প্রকৃত অর্থে নিজেদের ব্যতীত অন্য কাউকে প্রতারণা করতে পারে না। অথচ তারা এ সম্বন্ধে বোধগম্য নয়। তাদের অন্তরে রয়েছে ব্যাধি। উপরন্তু আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। এভাবে ২০নং আয়াত পর্যন্ত। (সূরা বাকারাঃ ৮-২০) আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ-إلى قوله---(إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ
‘‘নিশ্চয়ই মুনাফেকরা আল্লাহর সাথে প্রতারণা করে। আর তিনি তাদের সাথে প্রতারণা করেন (প্রতারণার প্রতিফল দান করেন) -----নিশ্চয়ই মুনাফেকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থিত হবে’’। (সূরা নিসাঃ ১৪২-১৪৫) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ
‘‘যখন মুনাফেকরা আপনার নিকট আসে তখন তারা বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ জানেন যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল। আর আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফেকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী’’। (সূরা মুনাফিকুনঃ ১)
আর ছোট নিফাক এর উদাহরণ হচ্ছে যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনঃ
آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
‘‘মুনাফেকের আলামত হচ্ছে তিনটি। (১) যখন কথা বলে মিথ্যা বলে। (২) অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে। (৩) যখন তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হয় তখন তা খেয়ানত করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে অন্য বর্ণনা এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এমন চারটি বৈশিষ্ট রয়েছে যার মধ্যে তা পাওয়া যাবে, সে প্রকৃত মুনাফেক হিসাবে গণ্য হবে। আর যার মধ্যে উক্ত বৈশিষ্টসমূহের একটি বিদ্যমান থাকবে তা পরিহার না করা পর্যন্ত তার মধ্যে নেফাকীর একটি বৈশিষ্ট বিদ্যমান থাকবে। (১) যখন তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হয় তখন তা খেয়ানত করে। (২) যখন কথা বলে মিথ্যা বলে। (৩) অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে। (৪) আর যখন ঝগড়া করে তখন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।[1]