উত্তরঃ ঈমানের বিপরীত হচ্ছে কুফরী। ঈমানের যেমন শাখা-প্রশাখা রয়েছে কুফরীরও তেমন শাখা-প্রশাখা রয়েছে। পূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, ঈমানের মূল বিষয় হচ্ছে, দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আনুগত্য ও আমলকে আবশ্যক করে। কুফরীর মূল হচ্ছে অস্বীকার করা ও অবাধ্য হওয়া, যা মানুষকে নাফরমানী ও অহংকারের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং সকল প্রকার সৎ কাজই ঈমানের শাখার অন্তর্ভূক্ত। অনেক আমলকে কুরআন ও হাদীছে সরাসরি ঈমান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সকল প্রকার পাপের কাজ কুফরীর শাখা বিশেষ। অনেক গুনাহ ও পাপের কাজকে কুরআন ও হাদীছে সরাসরি কুফর হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন সামনে আলোচনা করা হবে।
সুতরাং তুমি যখন উপরোক্ত বিষয়টি বুঝতে পারবে, তখন বুঝতে সক্ষম হবে যে, কুফর দুই প্রকার।
(১) كفر أكبر তথা বড় কুফরীঃ এটি মানুষকে ইসলাম থেকে সম্পূর্ণরূপে বের করে দেয়। এটি হল ‘কুফরে এতেকাদী’ তথা বিশ্বাসে কুফরী করা, যা অন্তরের বিশ্বাস ও আমল অথবা উভয়ের যে কোন একটির বিরোধী। অর্থাৎ যা বিশ্বাস রাখা বাঞ্চনীয় ও জরুরী তার বিপরীত কিছু বিশ্বাস করা বা আমল করাই হল বড় কুফরী।
(২) كفر أصغر ছোট কুফরীঃ এটি পরিপূর্ণ ঈমানের পরিপন্থী। তবে ইহা ঈমান থেকে সম্পূর্ণরূপে বের করে দেয় না। তা হল كفر عملي তথা কর্মে কুফরী, যা অন্তরের বিশ্বাস ও আমলকে ভঙ্গ করে দেয় না এমনকি ভঙ্গ হওয়াকে আবশ্যকও করে না।