উত্তরঃ হ্যাঁ, আল্লাহ্ অবশ্যই তা করতে সক্ষম। যেমন আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً
‘‘আর আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকে একই উম্মাতে পরিণত করে দিতেন’’। (সূরা মায়িদাঃ ৪৮) যেমন আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَآمَنَ مَنْ فِي الأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًا
‘‘আর যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করতেন, তাহলে পৃথিবীর সকল মানুষই ঈমান আনয়ন করত’’। (সূরা ইউনুসঃ ৯৯) এ ব্যাপারে আরো আয়াত রয়েছে। মোটকথা আল্লাহ্ যা করেছেন, তা স্বীয় হিকমত অনুযায়ী করেছেন। এটি তাঁর প্রভুত্ব, একত্ববাদ ও আসমা ও সিফাতের (নাম ওগুণাবলীর) দাবী।
যে বলে আল্লাহর বান্দারা অনুগত ও অবাধ্য এ দু’ভাবে বিভক্ত হল কেন? সকলেই আনুগত্যশীল হল না কেন? তার কথা ঐ ব্যক্তির কথার অনুরূপ, যে বলে থাকেঃ আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে الضَّار النّاَفِع (ক্ষতিকারক ও কল্যাণকারী), الْمَانِع الْمُعْطِي (দাতা ও প্রতিরোধকারী), الخَافِض الرَّافِع (নিচুকারী ও উত্তলনকারী), المنعم المنتقم (অনুগ্রহকারী ও প্রতিশোধগ্রহণকারী) ইত্যাদি কেন? কারণ তাঁর কর্মসমূহ তো নামসমূহের মর্মার্থ ও সিফাতের প্রভাব অনুযায়ীই হয়ে থাকে। সুতরাং আল্লাহর কর্মের মধ্যে আপত্তি উত্থান করা তার নাম ও গুণাবলী, তাঁর একত্ববাদ এবং প্রভুত্বের উপর উত্থাপন করারই নামান্তর। আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ * لاَ يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ
‘‘অতএব তারা যা বলে তা হতে আরশের অধিপতি আল্লাহ্ পবিত্র ও মহান। তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে’’। (সূরা আম্বীয়াঃ ২২-২৩)