উত্তরঃ এ ব্যাপারে অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
‘‘আমি প্রত্যেক জিনিষকে সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত করে রেখেছি’’। (সূরা ইয়াসীনঃ ১২) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
إِنَّ ذَلِكَ فِي كِتَابٍ
‘‘নিশ্চয়ই এবিষয়টি কিতাবে লিখিত আছে’’। (সূরা হজ্জঃ ৭০) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الأولَى * قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لاَ يَضِلُّ رَبِّي وَلاَ يَنْسَى
‘‘ফিরআউন বললঃ তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি? মুসা বললেনঃ এর জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট লিপিবদ্ধ আছে। আমার প্রতিপালক ভ্রান্ত হন না ও বিস্মৃতও হন না’’। (সূরা তোহাঃ ৫১-৫২) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثَى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهِ وَمَا يُعَمَّرُ مِنْ مُعَمَّرٍ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْ عُمُرِهِ إِلاَّ فِي كِتَابٍ إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
‘‘আল্লাহর অজ্ঞাতসারে কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং প্রসবও করে না। কোন দীর্ঘায়ু ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধি করা হয় না এবং তাঁর আয়ু কমানো হয় না, কিন্তু তা তো কিতাবে রয়েছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর জন্যে সহজ’’। (সূরা ফাতিরঃ ১১) এছাড়াও আরো অনেক আয়াত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
(مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلَّا كُتِبَ مَكَانُهَا مِنْ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ وَإِلَّا قَدْ كُتِبَ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَة)
‘‘তোমাদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার ঠিকানা জান্নাত কিংবা জাহান্নামে লেখা হয়নি এবং সে সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগা’’।[1] এই বর্ণনাতেই আছে, সুরাকা বিন মালেক (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিন। মনে হচ্ছে, আমাদেরকে এমুহূর্তে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে আজ আমরা কোন্ বিষয়ে আমল করব? এমন বিষয়ে যা লিখার পর কলমের কালি শুকিয়ে গেছে এবং ভাগ্য লিখিত হয়ে গেছে? না ঐ বিষয়ের, যা আমরা ভবিষ্যতে সম্মুখীন হবো? তিনি বললেনঃ না; বরং এমন বিষয়ে যা লিখার পর কলমের কালি শুকিয়ে গেছে এবং ভাগ্য লিখিত হয়ে গেছে। সুরাকা বললেনঃ তাহলে আমল করে লাভ কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেক আমলকারীর জন্যই তার আমল সহজ করে দেয়া হয়’’।[2] এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
>[2] - উপরোক্ত তথ্যসূত্র।