প্রশ্নঃ (১৩৭) উপরের হাদীছ এবং আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ (وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمُ الْجَنَّةُ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ) ‘আর তাদেরকে ডেকে বলা হবেঃ তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে তোমাদেরকে এই জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানানো হয়েছে’ (সূরা আ’রাফঃ ৪৩) এর মধ্যে কিভাবে সমন্বয় করা যাবে?

উত্তরঃ আল্লাহর মেহেরবাণীতে উভয়ের মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। আরবী ভাষায় باء হরফে জারটি একাধিক অর্থে ব্যবহার হয়। কুরআনের উপরোক্ত আয়াতে بَاء السببيةَ তথা বা- অক্ষরটি সাবাবীয় অর্থাৎ কারণ বর্ণনা করার জন্যে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং সৎ আমল জান্নাতে প্রবেশের কারণ। সৎকাজ ব্যতীত জান্নাত অর্জন সম্ভব নয়। কেননা যে শর্ত বাস্তবায়ন করলে সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্জিত হয়, সে শর্ত বাস্তবায়ন করা ব্যতীত উক্ত ফলাফল পাওয়া যায় না।

আর হাদীছে باء অব্যয়টি الثمنية--বিনিময় বা মূল্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই হাদীছে সৎআমল জান্নাতে প্রবেশের মূল্য হবে-এবিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। কারণ বান্দাকে যদি দুনিয়ার সমপরিমাণ বয়স দেয়া হয় এবং সে যদি এই দীর্ঘ বয়সে সবসময় দিনের বেলায় নফল রোজা রাখে এবং রাতভর নফল নামায আদায় করে এবং সকল প্রকার পাপ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকে তথাপিও তার এ আমল আল্লাহ্ তাআলার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ছোট নেয়ামতের দশভাগের একভাগের মূল্য হবে না। তাহলে কিভাবে সৎআমল জান্নাতে প্রবেশের মূল্য হতে পারে? আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ

وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

‘‘আর বলুনঃ হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন। আপনি সর্বোত্তম দয়ালু’’। (সূরা মুমিনুনঃ ১১৮)