উত্তরঃ আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ * وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ
‘‘তাহলে তোমরা সেই জাহান্নামকে ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যা প্রস্ত্তত করে রাখা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য। আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর যে, তাদের জন্য এমন বেহেশত রয়েছে, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে’’। (সূরা বাকারাঃ ২৪-২৫) এছাড়া আরো অনেক আয়াত রয়েছে, যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাযের দু’আয় বলতেনঃ
(اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ والنبيون حق ومحمد صلى الله عليه وسلم حق وَالسَّاعَةُ حَقٌّ)
‘‘হে আল্লাহ! আপনার জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান-যমিন এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত সকল বস্ত্তর আলো। আপনার জন্য সকল প্রশংসা। আপনি আসমান-যমিনের বাদশাহ। আপনার জন্য সকল প্রশংসা। আপনি সত্য, আপনার অঙ্গিকার সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য, আপনার কথা সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য এবং কিয়ামত সত্য।[1] উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ وفي رواية: مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ أَيَّهَا شَاءَ)
‘‘যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। ঈসা (আঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর বাক্য, যা তিনি মারইয়াম পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর রূহ। আর এই সাক্ষ্য দিবে যে, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য তাকে আল্লাহ্ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তার আমল যাই হোক। অন্য বর্ণনায় আছে, জান্নাতের আটটি দরজার যে কোন একটি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে’’।[2]
[2] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবু আহাদীছুল আম্বীয়া, মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।