উত্তরঃ হাশরের মাঠের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
وَلاَ تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الأَبْصَارُ * مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ
‘‘আপনি কখনও মনে করবেন না যে, যালিমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ্ গাফেল। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যেদিন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। তারা মস্তক উপরে তুলে ভীত বিহবল চিত্তে দৌড়াতে থাকবে। তাদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরে আসবে না। তাদের অন্তর উড়ে যাবে’’। (সূরা ইবরাহীমঃ ৪২-৪৩) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلاَئِكَةُ صَفًّا لاَ يَتَكَلَّمُونَ إِلاَّ مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا
‘‘যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ্ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতীত অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্য বলবে’’। (সূরা আন-নাবাঃ ৩৮) আল্লাহ তাআ’লা আরও বলেনঃ
وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ الْآزِفَةِ إِذْ الْقُلُوبُ لَدَى الْحَنَاجِرِ كَاظِمِينَ مَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ حَمِيمٍ وَلَا شَفِيعٍ يُطَاعُ
‘‘আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন। যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপীদের জন্য এমন কোন বন্ধু এবং সুপারিশকারী থাকবেনা, যার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে’’। (সূরা গাফেরঃ ১৮) আল্লাহ তাআ’লা আরও বলেনঃ
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
‘‘ফেরেশতাগণ এবং রূহ্ (জিবরীল আঃ) আল্লাহর দিকে উর্ধগামী হবেন এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।’’ (সূরা মাআ’রিজঃ ৪) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
سَنَفْرُغُ لَكُمْ أَيُّهَا الثَّقَلاَنِ
‘‘হে মানুষ ও জিন! আমি শিঘ্রই তোমাদের প্রতি মনোনিবেশ করব’’। (সূরা আর্-রাহমানঃ ৩১)