উত্তরঃ মওত চির সত্য। এ ব্যাপারে অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ
‘‘হে নবী! আপনি বলুনঃ তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবেন। অতঃপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালনকর্তার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে’’। (সূরা সিজদাহঃ ১১) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন উত্তম প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।’’ (সূরা আলইমরানঃ ১৮৫) আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ
إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ
‘‘নিশ্চয়ই আপনি মৃত্যু বরণ করবেন। তারাও মৃত্যু বরণ করবে’’। (সূরা যুমারঃ ৩০) আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِنْ مِتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ
‘‘আপনার পূর্বে আমি কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করি নি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে?’’ (সূরা আম্বীয়াঃ ৩৪) আল্লাহ তাআ’লা আরও বলেনঃ
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
‘‘ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার চেহারা (সত্তা) ব্যতীত’’। (সূরা আর্ রাহমানঃ ২৬-২৭) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ
‘‘আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংস হবে’’। (সূরা কাসাসঃ ৮৮) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لاَ يَمُوتُ
‘‘আপনি সেই চিরঞ্জীবের উপর ভরসা করুন, যার মৃত্যু নেই’’। (সূরা ফুরকানঃ৫৮)
মৃত্যুর উপর ঈমান আনয়নের ব্যাপারে হাদীছগুলো গণনা করে শেষ করা যাবে না। মৃত্যু একটি বাস্তব বিষয়। এটি কারো অজানা নয়। এতে কোন সন্দেহ নেই। এর বাস্তবতা হতে চক্ষু বন্ধ করে রাখা অহঙ্কার ছাড়া আর কি হতে পারে? আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাগণই কেবল মৃত্যু ও তার পরবর্তী বিষয়ের প্রতি বিশ্বাসের দাবী অনুযায়ী আমল করে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, যে কেউ মৃত্যু বরণ করুক, চাই তার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হোক বা নিহত হোক বা অন্য যে কোন কারণে হোক না কেন, সেটিই ছিল তার নির্ধারিত মৃত্যুর সময়। নির্ধারিত সময়ের একটু আগেও হয়নি, পরেও নয়। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ مُسَمًّى
‘‘প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলমান’’। (সূরা রা’দঃ ২)
فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لاَ يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلاَ يَسْتَقْدِمُونَ
‘‘যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় চলে আসবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে আর না এগিয়ে আসতে পারবে’’। (সূরা আ’রাফঃ ৩৪)