সা’দ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
كُنَّا نُكْرِي الْأَرْضَ بِمَا عَلَى السَّوَاقِي مِنْ الزَّرْعِ وَمَا سَعِدَ بِالـْمَاءِ مِنْهَا فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ وَأَمَرَنَا أَنْ نُكْرِيَهَا بِذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ
‘‘আমরা নালার পাড়ের ফসলের বিনিময়ে যাতে নালার পানি সহজে পৌঁছে জমিন ভাড়া দিতাম। রাসূল (সা.) তা করতে নিষেধ করেন এবং তিনি সোনা-রূপার বিনিময়ে জমিন ভাড়া দিতে আদেশ করেন’’।[1]
রাসূল (সা.) কেন জমিনের নির্দিষ্ট কোন অংশের বিনিময়ে তা ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন তা নিম্নোক্ত রাফি’ বিন্ খাদীজ্ (রা.) এর হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। ’হানযালাহ্ বিন্ ’ক্বাইস্ আনসারী (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাফি’ বিন্ খাদীজ্ (রা.) কে সোনা-রূপার বিনিময়ে জমিন ভাড়া দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: তাতে কোন অসুবিধে নেই। রাসূল (সা.) এর যুগে লোকেরা নদী-নালার পাড়ের এবং নির্দিষ্ট কোন অংশের ফসলের বিনিময়ে জমিন ভাড়া দিতো। তখন দেখা যেতো উক্ত নির্দিষ্ট অংশটুকুতেই শুধুমাত্র ফসল হয়েছে। অন্যটুকুতে নয়। অথবা অন্যটুকুতেই শুধুমাত্র ফসল হয়েছে। উক্ত নির্দিষ্ট অংশটুকুতে নয়। আর তখন এভাবেই ভাড়া চলতো। তখন রাসূল (সা.) তা করতে নিষেধ করেন। তবে নির্ধারিত যা কিছুর নিশ্চয়তা রয়েছে তার বিনিময়ে অবশ্যই ভাড়া দেয়া যাবে।[2]
>[2] (আবু দাউদ, হাদীস ৩৩৯২)