আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ ، فَإِنْ كَانَ لاَبُدَّ مُتَمَنِّياً لِلْمَوْتِ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِيْ مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْراً لِيْ ، وَتَوَفَّنِيْ إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْراً لِيْ
‘‘তোমাদের কেউ যেন কোন কঠিন বিপদে পড়ে নিজের মৃত্যু কামনা না করে। যদি অগত্যা মৃত্যু কামনা করতেই হয় তা হলে সে যেন এভাবে বলেঃ হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন যতদিন পর্যন্ত আমার বেঁচে থাকাটা আমার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। অন্যথা আমাকে মৃত্যু দিন যদি আমার মৃত্যু বরণ করাটা আমার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে’’।[1]
যে কোন কারণে নিজের মৃত্যু কামনা করা এ জন্যই নিষিদ্ধ যে, কারণ বেঁচে থাকলেই তো যে কেউ নিজের নেক আমল বাড়িয়ে নিতে পারবে অথবা নিজ কৃতকর্ম থেকে তাওবা করে আখিরাতের জন্য প্রস্ত্তত হতে পারবে।
আবু ’উবাইদ্ সা’দ্ বিন্ ’উবাইদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يَتَمَنَّى أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ ، إِمَّا مُحْسِناً فَلَعَلَّهُ يَزْدَادُ ، وَإِمَّا مُسِيْئاً لَعَلَّهُ يَسْتَعْتِبُ
‘‘তোমাদের কেউ যেন কখনো নিজের মৃত্যু কামনা না করে। যদি সে নেককার হয়ে থাকে তা হলে সে নেক কাজে আরো অগ্রসর হবে। আর যদি সে বদ্কার হয়ে থাকে তা হলে সে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নিজ কৃতকর্ম থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবে’’।[2]
>[2] (বুখারী, হাদীস ৭২৩৫)