আবু শুরাই’হ্ খুযা’য়ী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
الضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ، وَجَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ ، وَلاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أَنْ يُقِيْمَ عِنْدَ أَخِيْهِ حَتَّى يُؤْثِمَهُ ، قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَكَيْفَ يُؤْثِمُهُ ؟ قَالَ : يُقِيْمُ عِنْدَهُ ، وَلاَ شَيْءَ لَهُ يَقْرِيْهِ بِهِ
‘‘মেহমানদারি তিন দিন পর্যন্ত। তবে মেহমানের পুরস্কার হচ্ছে এক দিন ও এক রাত। কোন মোসলমানের জন্য জায়িয হবে না তার অন্য কোন মোসলমান ভাইয়ের নিকট মেহমান হিসেবে এতক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করা যাতে সে গুনাহ্গার হতে বাধ্য হয়। সাহাবাগণ বললেন: কিভাবে সে অন্যকে গুনাহ্গার হতে বাধ্য করবে ? রাসূল (সা.) বললেন: সে এমন লোকের নিকট মেহমান হিসেবে অবস্থান করবে ; যার নিকট তাকে মেহমানদারি করার মতো কিছুই নেই’’।[1]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِـزَتَهُ ، قَالُوْا : وَمَا جَائِزَتُهُ ؟ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَالَ : يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ ، وَالضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهِ
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলা ও পরকালে বিশ্বাসী সে যেন তার মেহমানকে তার পুরস্কার পরিমাণ মেহমানদারি করে। সাহাবাগণ বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! তার পুরস্কার পরিমাণ মেহমানদারি কতটুকু ? তিনি বললেন: তা হচ্ছে এক দিন ও এক রাত। তবে তার মেহমানদারি হচ্ছে তিন দিন পর্যন্ত। এরপর যা হবে তা হবে তার উপর সাদাকা মাত্র’’।[2]
>[2] (মুসলিম, হাদীস ৪৮)