’আমর বিন্ শু’আইব (রাহিমাহুল্লাহ্) তাঁর পিতা থেকে তাঁর পিতা তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ تَنْتِفُوْا الشَّيْبَ ؛ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَشِيْبُ شَيْبَةً فِيْ الْإِسْلاَمِ إِلاَّ كَانَتْ لَهُ نُوْرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، وَفِيْ رِوَايَةٍ : إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةً
‘‘তোমরা শরীরের সাদা চুলগুলো উঠিয়ে ফেলো না। কারণ, কোন মুসলমানের চুল তার ইসলামী জীবন যাপনের মধ্য দিয়েই পেকে সাদা হয়ে গেলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য আলো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার প্রতিটি চুলের বিপরীতে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে একটি করে সাওয়াব এবং তার গুনাহ্ সমূহ থেকে একটি করে গুনাহ্ ক্ষমা করে দিবেন’’।[1]
তবে চুল বা দাঁড়ি সাদা হয়ে গেলে তাতে কালো রঙ ছাড়া অন্য যে কোন রঙ ব্যবহার করা যায়। বরং তা করাই শ্রেয়। কারণ, তাতে করে ইহুদি ও খ্রিস্টানের সাথে এক ধরনের অমিল সৃষ্টি হয় যা শরীয়তের একান্ত কাম্য।
জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: মক্কা বিজয়ের দিন আবু ক্বু’হাফাকে রাসূল (সা.) এর সামনে উপস্থিত করা হলো। তাঁর দাঁড়ি ও মাথার চুলগুলো ছিলো সাগামা উদ্ভিদের ন্যায় সাদা। তা দেখে রাসূল (সা.) সাহাবাদেরকে বললেন:
غَيِّرُوْا هَذَا بِشَيْءٍ وَاجْتَنِبُوْا السَّوَادَ
‘‘এর চুল-দাঁড়িগুলোকে কোন কিছু দিয়ে রঙ্গীন করে নাও। তবে কালো রঙ লাগাবে না’’।[2]
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُوْنَ ، فَخَالِفُوْهُمْ
‘‘ইহুদি-খ্রিস্টানরা চুল-দাঁড়ি কালার করে না। অতএব তোমরা তাদের উল্টোটা তথা দাঁড়ি-চুলগুলোকে কালার করবে’’।[3]
>[2] (মুসলিম, হাদীস ২১০২)
[3] (মুসলিম, হাদীস ২১০৩)