আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُّصَلَّى عَلَى الْجَنَائِزِ بَيْنَ الْقُبُوْرِ
‘‘রাসূল (সা.) কবরস্থানে জানাযার নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন’’।[1]
তবে সদ্য দাফনকৃত কোন ব্যক্তির কবরকে সামনে নিয়ে তাঁর কোন নিকটাত্মীয় অথবা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তার জানাযার নামায পড়তে পারে। যিনি বা যাঁরা ইতিপূর্বে অত্যধিক আগ্রহ থাকা সত্তেবও তার জানাযার নামাযে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
انْتَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إلَى قَبْرٍ رَطْبٍ فَصَلَّى عَلَيْهِ وَصَفُّوْا خَلْفَهُ وَكَبَّرَ أَرْبَعاً
‘‘রাসূল (সা.) সদ্য দাফনকৃত জনৈক ব্যক্তির কবরের কাছে গিয়ে তার জানাযার নামায আদায় করেন। সাহাবায়ে কিরামও তাঁর পেছনে সারিবদ্ধ হয়ে চার তাকবীরে উক্ত ব্যক্তির জানাযার নামায আদায় করেন’’।[2]
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈকা কালো মহিলা অথবা জনৈক কালো যুবক রাসূল (সা.) এর মসজিদ ঝাড়ু দিতো। একদা রাসূল (সা.) তাকে দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সাহাবায়ে কিরাম বললেন: সে তো মরে গিয়েছে। রাসূল (সা.) বললেনঃ তোমরা কেন আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই জানালে না ? মূলত: সাহাবায়ে কিরাম ব্যাপারটিকে নিতান্ত ছোটই মনে করলেন। তাই তাঁরা রাসূল (সা.) কে এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে কিছুই জানাননি। অতঃপর রাসূল (সা.) বললেন: তোমরা আমাকে তার কবরটি দেখিয়ে দাও। তাঁরা রাসূল (সা.) কে তার কবরটি দেখিয়ে দিলে রাসূল (সা.) তার কবরটি সামনে রেখে তার জানাযার নামায আদায় করেন। অতঃপর বলেন:
إِنَّ هَذِهِ الْقُبُوْرَ مَمْلُوْءَةٌ ظُلْمَةً عَلَى أَهْلِهَا ، وَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُنَوِّرُهَا لَهُمْ بِصَلاَتِيْ عَلَيْهِمْ
‘‘নিশ্চয়ই কবরগুলো তার অধিবাসীদের উপর অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। আর আল্লাহ্ তা’আলা তাদের উপর আমার জানাযার নামাযের বরকতে তা তাদের জন্য আলোকিত করে দেন’’।[3]
>[2] (মুসলিম, হাদীস ৯৫৪)
[3] (মুসলিম, হাদীস ৯৫৬)