’আলী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِذَا جَلَسَ إِلَيْكَ الْـخَصْمَانِ فَسَمِعْتَ مِنْ أَحَدِهِمَا فَلاَ تَقْضِ لِأَحَدِهِمَا حَتَّى تَسْمَعَ مِنَ الْآخَرِ ؛ كَمَا سَمِعْتَ مِنَ الْأَوَّلِ ؛ فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ تَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ
‘‘যখন তোমার সামনে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ বসবে তখন তুমি তাদের এক পক্ষের কথা শুনে বিচার করবে না যতক্ষণ না তুমি দ্বিতীয় পক্ষের কথা শুনো যেমনিভাবে শুনেছিলে প্রথম পক্ষ থেকে। কারণ, তখনই তোমার সামনে বিচারের ব্যাপারটি সুস্পষ্ট হয়ে যাবে’’।[1]
আলী (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সা.) আমাকে বিচারক হিসেবে ইয়েমেনে পাঠাচিছলেন। তখন আমি বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আপনি আমাকে বিচারক হিসেবে পাঠাচ্ছেন ; অথচ আমি অল্প বয়সের একজন যুবক এবং বিচার কার্য সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। তখন রাসূল (সা.) বললেন:
إِنَّ اللهَ سَيَهْدِيْ قَلْبَكَ وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ ، فَإِذَا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْكَ الْـخَصْمَانِ ؛ فَلاَ تَقْضِيَنَّ حَتَّى تَسْمَعَ مِنَ الْآخَرِ ؛ كَمَا سَمِعْتَ مِنَ الْأَوَّلِ ؛ فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يَتَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ ، قَالَ: فَمَا زِلْتُ قَاضِيًا أَوْ مَا شَكَكْتُ فِيْ قَضَاءٍ بَعْدُ
‘‘আল্লাহ্ তা’আলা তোমার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন এবং তোমার জিহবাকে দৃঢ় করবেন। যখন তোমার সামনে উভয় পক্ষ উপস্থিত হবে তখন তুমি দ্রুত বিচার করবে না যতক্ষণ না তুমি দ্বিতীয় পক্ষ থেকে তাদের কথা শুনো যেমনিভাবে শুনেছিলে প্রথম পক্ষ থেকে। কারণ, তখনই তোমার সামনে বিচারের ব্যাপারটি সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। হযরত ’আলী (রা.) বলেন: তখন থেকেই আমি বিচারক অথবা তিনি বললেন: অতঃপর আমি আর বিচারের ক্ষেত্রে কখনোই কোন সন্দেহের রোগে ভুগিনি’’।[2]
>[2] (আবু দাউদ, হাদীস ৩৫৮২ তিরমিযী, হাদীস ১৩৩১)