সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা মুশরিকরা আমাকে বললোঃ আরে এ কি? তোমাদের নবী তো তোমাদেরকে সব কিছুই শিক্ষা দেয়। এমনকি মল-মূত্র ত্যাগ করাও। তখন তিনি বললেন: হ্যাঁ, তিনি আমাদেরকে মল-মূত্র ত্যাগ করাও শিক্ষা দিয়েছেন। আর এতে আশ্চর্যের কি রয়েছে? অতঃপর তিনি বলেন:
لَقَدْ نَهَانَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ ، أَوْ نَسْتَنْجِـيَ بِالْيَمِيْنِ ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيْعٍ أَوْ بِعَظْمٍ
‘‘রাসূল (সা.) আমাদেরকে কিব্লামুখী হয়ে মল-মূত্র ত্যাগ, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা, তিনটি ঢিলার কমে ইস্তিঞ্জা কিংবা পশুর মল অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন’’।[1]
মুশরিকদের সাথে সাল্মান ফারসী (রা.) এর উক্ত আচরণ এটাই প্রমাণ করে যে, কাফির বা মুনাফিকদের কোন তিরস্কার মূলক প্রশ্নের মুখে পড়ে কোন মুসলমান যেন নিজের অহেতুক সম্মান উদ্ধারের মানসে শরীয়তের কোন বিধানকে অস্বীকার না করে অথবা উহার কোন অপব্যাখ্যা না দেয়। বরং তখন শরীয়তের বিধানটির সগর্ব স্বীকারোক্তিই হবে এক জন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক।
হাড় হচ্ছে জ্বিনদের খাদ্য এবং মানবপালিত পশুর মল হচ্ছে জ্বিনদের পশুর খাদ্য।
আব্দুল্লাহ বিন মাস্ঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জ্বিনরা যখন রাসূল (সা.) কে তাদের খাদ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন তিনি বলেন:
لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِيْ أَيْدِيْكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُوْنُ لَحْماً ، وَكُلُّ بَعْرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ
‘‘বিসমিল্লাহ্ তথা আল্লাহ্ তা’আলার নাম উচ্চারিত হয়েছে এমন প্রতিটি হাড় তোমাদের খাদ্য। তা তোমরা গোস্তে পরিপূর্ণ পাবে। তেমনিভাবে উটের প্রতিটি মলখন্ড তোমাদের পশুর খাদ্য। অতঃপর রাসূল (সা.) সাহাবাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:
فَلاَ تَسْتَنْجُوْا بِهِمَا، فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ
‘‘অতএব তোমরা এ দু’টি বস্ত্ত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না। কারণ, ওগুলো তোমাদেরই ভাই জ্বিনদের খাদ্য’’।[2]
>[2] (বুখারী, হাদীস ৩৮৬০ মুসলিম, হাদীস ৪৫০)