৯. সূর্যাস্তের পর থেকে ফজর পর্যন্ত রাত্রি বেলায় কোন কিছু না খেয়ে পরস্পর একাধিক রোযা রাখা

আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تُوَاصِلُوْا ، فَأَيُّكُمْ أَرَادَ أَنْ يُوَاصِلَ فَلْيُوَاصِلْ حَتَّى السَّحَرِ ، قَالُوْا: فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَالَ: لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ ، إِنِّيْ أَبِيْتُ لِيْ مُطْعِمٌ يُطْعِمُنِيْ وَسَاقٍ يَسْقِيْنِ

‘‘তোমরা রাত্রি বেলায় কিছু না খেয়ে পরস্পর একাধিক রোযা রেখো না। এরপরও তোমাদের কেউ এমন করতে চাইলে সে যেন তা সেহ্রী পর্যন্ত পালন করে। সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আপনি তো এমনটি করছেন? তখন তিনি বললেন: আরে আমি তো আর তোমাদের মতো নই। বরং আমাকে তো রাত্রি বেলায় খাবার সরবরাহ্কারী আল্লাহ্ তা’আলা খাইয়ে দেন এবং পানীয় পরিবেশনকারী আল্লাহ্ তা’আলা পান করান’’।[1]

নিষেধের পরও সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) এমনটি করলে রাসূল (সা.) তাঁদেরকে শাস্তি দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) একদা রাত্রি বেলায় কিছু না খেয়ে পরস্পর একাধিক রোযা রাখতে নিষেধ করেন। তখন জনৈক মুসলমান বলে উঠলো: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আপনি তো এমনটি করছেন? তখন রাসূল (সা.) বললেনঃ

وَأَيُّكُمْ مِثْلِيْ ؟ إِنِّيْ أَبِيْتُ يُطْعِمُنِيْ رَبِّيْ وَيَسْقِيْنِ

‘‘আরে তোমাদের কেই বা আর আমার মতো? বরং আমাকে তো আমার প্রভুই রাত্রি বেলায় খাওয়ান ও পান করান’’।

সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) যখন এ কাজে নিবৃত্ত হলেন না তখন রাসূল (সা.) পরস্পর দু’ দিন রাত্রি বেলায় কিছু না খেয়ে রোযা রাখলেন। এরই মধ্যে তাঁরা নতুন চাঁদ দেখতে পেলো। তখন রাসূল (সা.) বললেন:

لَوْ تَأَخَّرَ لَزِدْتُكُمْ

‘‘চাঁদটি উঠতে দেরি করলে আমি অবশ্যই আরো রোযা বাড়িয়ে দিতাম। আর তা হতো তাঁদের জন্য শাস্তি স্বরূপ’’।[2]

>
[1] (বুখারী, হাদীস ১৯৬৩, ১৯৬৭)

[2] (বুখারী, হাদীস ১৯৬৫ মুসলিম, হাদীস ১১০৩)