খৃস্টান প্রচারকগণ বলেন: যীশু জীবিত কিন্তু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত, কাজেই যীশুর মর্যাদা বেশি। এক্ষেত্রে খৃস্টানদের মানতে হবে যে, যীশুর চেয়ে বেশি মর্যাদা ইদরিস ও এলিয় নবীর; কারণ, বাইবেলের বর্ণনানুসারে তারা স্বশরীরে অমর হয়ে জান্নাতে গিয়েছেন। (আদিপুস্তক ৫/২৩-২৪; ২ রাজাবলি ২/১-১১) পক্ষান্তরে ঈসা মাসীহকে ক্রুশে মরে অভিশপ্ত হয়ে তিন দিন নরকভোগের পর জান্নাতে যেতে হয়েছে। সর্বোচ্চ মর্যাদা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর, কারণ আল্লাহ তাঁকে জাগ্রত অবস্থায় স্বশরীরে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে যান মি‘রাজের মাধ্যমে। আমরা বিশ্বাস করি যে, ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহ ক্রুশে মৃত্যুর লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করে জীবিত তুলে নেন। কিন্তু ইঞ্জিলের বর্ণনায় ও খৃস্টানদের বিশ্বাসে তিনি মৃত। মৃত্যুর পরে তিনি জীবন পেয়েছেন। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও মৃত্যুর পরে বারযাখী জীবন পেয়েছেন। পার্থক্য হলো, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “সর্বোচ্চ ভালোবাসার পাত্র প্রিয় বন্ধুর সান্নিধ্য চাই” বলতে বলতে ভালোবাসার আবেগে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। আর যীশু অসহায়ের মত চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে মরেছেন। তাঁর সাথে ক্রুশবিদ্ধ ডাকাতগুলিও মরার সময় এভাবে কাঁদে নি। (মথি ২৭/৩৮-৫১; মার্ক ১৫/২৭-৩৮)