খৃস্টান প্রচারকগণ দাবি করেন, পবিত্র আত্মা বা পাক রুহের তত্ত্বাবধানে ‘ইঞ্জিল’ লেখা হয়। এটিও ভিত্তিহীন দাবি ছাড়া কিছুই নয়। নতুন নিয়মে যীশু খৃস্টের শিষ্যদের পত্রে আমরা দেখি যে, তারা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে কিছু জানতে পারলে তা উল্লেখ করতেন। কিন্তু ইঞ্জিল শরীফগুলির কোথাও লেখা নেই যে, এগুলি পবিত্র আত্মার মাধ্যমে লেখা। বরং লূক তার ইঞ্জিলের শুরুতে খুব স্পষ্ট করে লিখেছেন যে, অনেকেই বিশ্বাসের ভিত্তিতে অনেক ইঞ্জিল লিখেছেন এবং তিনিও শোনা কথার উপর ভিত্তি করে সঠিক কথাগুলি লেখার চেষ্টা করেছেন। (লূক ১/১-৪)।

সর্বোপরি ইঞ্জিলগুলির মধ্যে এত বৈপরীত্য রয়েছে যে, পাক রূহ তো দূরের কথা কোনো নাপাক মানুষও এরূপ পরস্পর বিরোধী কথা লিখতে পারে না। পাঠক যদি প্রচলিত চারটি “মতানুসারে ইঞ্জিল” তুলনা করে অধ্যয়ন করেন তাহলে দেখবেন যে, চারটি ইঞ্জিলেই যীশু খৃস্টের জীবনের একই ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি ঘটনা চার ইঞ্জিলে পরস্পর বিরোধী ও সাংঘর্ষিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।