পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামা‘আতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা

‘আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي فِي الأَضْحَى وَالفِطْرِ، ثُمَّ يَخْطُبُ بَعْدَ الصَّلاَةِ»

“রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন সালাত আদায় করতেন। আর সালাত শেষে খুতবা দিতেন।”[1]

জাবির ইবন ‘আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

يَقُولُ: «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمَ الفِطْرِ، فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الخُطْبَةِ»

তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন বের থেকেন। এরপর খুতবার আগে সালাত শুরু করেন।”[2]

«أخبرني عطاء : أن عباس أرسل إلى ابن الزبير في أول ما بويع له إنه لم يكن يؤذن بالصلاة يوم الفطر إنما الخطبة بعد الصلاة»

বর্ণনাকারী বলেন, আমাকে আতা রহ. বলেছেন যে, ইবন যুবায়র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বাই‘আত গ্রহণের প্রথম দিকে ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এ বলে লোক পাঠালেন যে, ঈদুল ফিতরের সালাতে আযান দেওয়া হত না এবং খুতবা দেওয়া হতো সালাতের পরে।”[3]

ইবন ‘আব্বাস ও জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে বলেন,

«لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الفِطْرِ وَلاَ يَوْمَ الأَضْحَى»

“ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার সালাতে আযান দেওয়া হতো না”।[4]

জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে,

يَقُولُ: «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ بَعْدُ، فَلَمَّا فَرَغَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ، فَأَتَى النِّسَاءَ، فَذَكَّرَهُنَّ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ بِلاَلٍ، وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ يُلْقِي فِيهِ النِّسَاءُ صَدَقَةً» قُلْتُ لِعَطَاءٍ: أَتَرَى حَقًّا عَلَى الإِمَامِ الآنَ: أَنْ يَأْتِيَ النِّسَاءَ فَيُذَكِّرَهُنَّ حِينَ يَفْرُغُ؟ قَالَ: «إِنَّ ذَلِكَ لَحَقٌّ عَلَيْهِمْ وَمَا لَهُمْ أَنْ لاَ يَفْعَلُوا»

“তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে প্রথমে সালাত আদায় করলেন এবং পরে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা শেষ করলেন, তিনি (মিম্বর থেকে) নেমে মহিলাগণের (কাতারে) আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাতে ভর করেছিলেন এবং বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার কাপড় জড়িয়ে ধরলে, মহিলাগণ এতে সদকার বস্তু দিতে লাগলেন। আমি আতা রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এখনো জরুরী মনে করেন যে, ইমাম খুতবা শেষ করে মহিলাগণের নিকট এসে তাদের নসীহত করবেন? তিনি বললেন, নিশ্চয় তা তাদের জন্য অবশ্যই জরুরী। তাদের কী হয়েছে যে, তারা তা করবে না?”[5]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৫৭।

[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৫৮।

[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৫৯।

[4] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৬০।

[5] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৬১।