হিশাম রহ. তার পিতার থেকে বর্ণনা করেন যে,

«كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَصُومُ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ بِمِنًى، وَكَانَ أَبُوهَا يَصُومُهَا»

“আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা আইয়ামুত তাশরিকে মিনায় সাওম পালন করতেন, তার পিতাও সে দিন গুলোতে সাওম পালন করতেন”। [1]

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন,

«لَمْ يُرَخَّصْ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ أَنْ يُصَمْنَ، إِلَّا لِمَنْ لَمْ يَجِدِ الهَدْيَ»

“যাঁর নিকট কুরবানীর পশু নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরীকে সাওম পালন করার অনুমতি দেওয়া হয় নি”।[2]

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«الصِّيَامُ لِمَنْ تَمَتَّعَ بِالعُمْرَةِ إِلَى الحَجِّ إِلَى يَوْمِ عَرَفَةَ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا وَلَمْ يَصُمْ، صَامَ أَيَّامَ مِنًى»

“যে ব্যক্তি একই সঙ্গে হজ ও ‘উমরা পালনের সুযোগ লাভ করলো সে ‘আরাফাত দিবস পর্যন্ত সাওম পালন করবে। সে যদি কুরবানী না করতে পারে এবং সাওমও পালন না করে থাকে তবে মিনার দিনগুলোতে সাওম পালন করবে”।[3]

নুবাইশা আল-হুযালী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ»

“আইয়্যামে তাশরীক পানাহারের দিন”।[4]

কা‘ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ وَأَوْسَ بْنَ الْحَدَثَانِ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ، فَنَادَى «أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَأَيَّامُ مِنًى أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ»

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এবং আউস ইবন হাদসান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে আইয়্যামে তাশরীকের সময় পাঠালেন এবং বলে দিলেন তোমরা ঘোষণা করে দাও যে, মুমিনগণই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং আইয়্যামে মিনা (আইয়্যামে তাশরীক) পানাহার করবার দিন।”[5]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯৬,

[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯৭।

[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯৯।

[4] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪১।

[5] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪২।