স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীর নফল সাওম পালন

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বলেন,

«لاَ تَصُومُ المَرْأَةُ وَبَعْلُهَا شَاهِدٌ إِلَّا بِإِذْنِهِ»

“কোনো স্ত্রী স্বামীর উপস্থিতিতে তাঁর অনুমতি ছাড়া নফল সাওম রাখবে না”।[1]

আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেবর্ণিত,তিনি বলেন,

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ عِنْدَهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ زَوْجِي صَفْوَانَ بْنَ الْمُعَطَّلِ، يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ، وَيُفَطِّرُنِي إِذَا صُمْتُ، وَلَا يُصَلِّي صَلَاةَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، قَالَ وَصَفْوَانُ عِنْدَهُ، قَالَ: فَسَأَلَهُ عَمَّا قَالَتْ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمَّا قَوْلُهَا يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ، فَإِنَّهَا تَقْرَأُ بِسُورَتَيْنِ وَقَدْ نَهَيْتُهَا، قَالَ: فَقَالَ: «لَوْ كَانَتْ سُورَةً وَاحِدَةً لَكَفَتِ النَّاسَ»، وَأَمَّا قَوْلُهَا: يُفَطِّرُنِي، فَإِنَّهَا تَنْطَلِقُ فَتَصُومُ، وَأَنَا رَجُلٌ شَابٌّ، فَلَا أَصْبِرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ: «لَا تَصُومُ امْرَأَةٌ إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا»، وَأَمَّا قَوْلُهَا: إِنِّي لَا أُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، فَإِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ قَدْ عُرِفَ لَنَا ذَاكَ، لَا نَكَادُ نَسْتَيْقِظُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، قَالَ: «فَإِذَا اسْتَيْقَظْتَ فَصَلِّ»

“জনৈকা মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আগমন করে এবং এ সময় আমরাও তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। সে মহিলা বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার স্বামী সাফওয়ান ইবন মু‘আত্তাল, যখন আমি সালাত পড়ি তখন আমাকে মারধর করে আর আমি সাওম পালন করলে সে আমাকে সাওম ভাঙ্গতে বলে। অথচ সে সে সূর্যোদয়ের পূর্বে কখনো ফজরের সালাত পড়ে না। বর্ণনাকারী বলেন, সাফওয়ানও তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর নিকট উক্ত মহিলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! তার বক্তব্য ‘আমাকে মারধর করে, যখন আমি সালাত আদায় করি।’ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, সে এমন (দীর্ঘ) দু’টি সূরা (সালাতের মধ্যে) পড়ে, যা যা পড়তে তাকে আমি নিষেধ করি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বলেছেন, যদি কেউ (ছোট) একটিসূরা পড়ে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। আর তার বক্তব্য ‘আমি সাওম পালন করলে সে তা ভাঙ্গতে বলে।’ ব্যাপার এই যে, সে সব সময়ই (নফল) সাওম রাখে। আর আমি যুবক হওয়ার কারণে (স্ত্রী সহবাস ব্যতীত) থাকতে পারি না।রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজ থেকে কোনো স্ত্রীলোক স্বামীর অনুমতি ব্যতীত (নফল) সাওম রাখতে পারবে না। আরতার বক্তব্যযে, ‘আমি সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরের) সালাত আদায় করি না।’ এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য এই যে, আমরা পানি সরবরাহকারী পরিবারের লোক। রাতের প্রথম ভাগে কাজ করি, শেষ রাতে নিদ্রা যাই এবং এটাই আমাদের অভ্যাস। এ জন্য আমরা সূর্যোদয় হওয়া ব্যতীত নিদ্রা থেকে জাগ্রত হতে পারি না। তিনি বলেন, তুমি যখই নিদ্রা থেকে জাগ্রত হবে তখনই সালাত পড়ে নিবে।”[2]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫১৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৬।

[2] আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৫৯, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। ইবন হিব্বান, ১৪৮৮, মুসতাদরাক হাকিম, ১৫৯৪, ইমাম হাকিম রহ. বলেন, এটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ, তবে তারা কেউ উল্লেখ করেন নি।