দ্বীন ইসলামের আরকান ও আহকাম পালন না করলে এবং ছালাত আদায় না করে শুধু কালেমা পড়ে মারা গেলে তার জানাযা পড়তে হবে, এরূপ কোন বিধান শরী‘আতে নেই। যে কোনদিন ছালাত আদায় করেনি এবং রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ মোতাবেক জীবন যাপন করেনি, তার উপর জানাযা পড়তে হবে কেন? কবরে রাখার সময় রাসূল (রাঃ)-এর ত্বরীকায় ছিল বলে কেন সাক্ষী দিতে হবে? এর পক্ষে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلُّوْا عَلَى مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَصَلُّوْا خَلْفَ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ.

ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলেছে, তার জানাযার ছালাত পড়। অনুরূপ তার পিছনেও ছালাত আদায় কর।[1]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি নিতান্তই যঈফ। এর সনদে ওছমান বিন আব্দুর রহমান নামে একজন যঈফ রাবী আছে। ইবনু মাঈন তাকে মিথ্যুক বলেছেন।[2] উল্লেখ্য যে, তাদের মত লোকেরাই তাদের জানাযা পড়বে। কোন দ্বীনী আলেম ও পরহেযগার ব্যক্তি তার ছালাতে হাযির হবে না।[3]

[1]. দারাকুৎনী হা/১৭৮১ ও ১৭৮২।

[2]. বিস্তারিত দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৫২৭, ২/৩০৫ পৃঃ- وهذا سند واه جدا عثمان بن عبد الرحمن هو الزهري الوقاصي متروك وكذبه ابن معين।

[3]. বুখারী হা/২২৮৯, ১/৩০৫ পৃঃ, (ইফাবা হা/২১৪৪, ৪/১৩২ পৃঃ); মিশকাত হা/২৯০৯, পৃঃ ২৫২, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘ইফলাস’ অনুচ্ছেদ; বুখারী হা/৪২৩৪, ‘মাগাযী’ অধ্যায়, ‘খায়বারের যুদ্ধ’ অনুচ্ছেদ-৩৮; মুসলিম হা/৩২৫; মিশকাত হা/৩৯৯৭।