চূড়ান্ত সফলতার পর ব্যর্থতার পথে যাত্রা- এই জগতের নিয়ম। নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও দেশপ্রেমের সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রথম আলো বাংলাদেশের শীর্ষ ও সফলতম পত্রিকার খেতাব অর্জন করেছে। চূড়ান্ত ব্যর্থতা ছাড়া অর্জনের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই এর। অথচ তাদের ভাওতাবাজী শ্লোগানগুলোর অসারতা সম্পর্কে ইসলামপন্থী বা ডানরা শুধু নয়; এ দেশের বাম ও স্বগোত্রীয় ধর্মবিদ্বেষী শ্রেণী পর্যন্ত কখনো সন্দেহ পোষণ করে নি। জাতীয় সংসদেও প্রথম আলো নামের প্রথম কালোর বিরুদ্ধে দীর্ঘ সমালোচনা হয়েছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পাদকের সম্পৃক্ততা, একটি দেশের প্রতি তার গোপন এজেন্ডা এবং দুই নেত্রীকে মাইনাসের চেষ্টা নিয়েও বহু কথা হয়েছে মিডিয়াপাড়ায় ‘মিশনারিনির্ভর পত্রিকা খ্যাত’ এ দৈনিকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ধ্বংস করে ধর্ষণের রাজধানীর লকব পাওয়া পাশের দেশের অশ্লীল ও পৌত্তলিক সংস্কৃতি প্রচলন ও উৎসাহিতকরণে এর অবদান অনস্বীকার্য।
সর্বদা শান্তি ও প্রগতির কথা বললেও বিস্ময়করভাবে পত্রিকাটি জন্মলগ্ন থেকে লেগে আছে শান্তি ও প্রগতির ধর্ম ইসলাম ও তার অনুসারীদের পেছনে। ইসলামবিদ্বেষীদের মহিমান্বিতকরণ এবং ইসলাম ও মুসলমানের চরিত্র হননে ধারাবাহিকতা ও আপোসহীনতায় প্রথম আলোর অবস্থান সবার ওপরে। একদিকে ইসলামের বিপক্ষশক্তির শতজনের সমাবেশকে হাজারো-লাখো জনতার মহাসমাবেশ হিসেবে তুলে ধরা অন্যদিকে লক্ষাধিক ইসলামপ্রেমীর স্বতস্ফূর্ত সমাবেশকে অনতিদীর্ঘ ও অগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন কিংবা একেবারেই তুলে না ধরা এর পলিসি।
প্রথম আলো যে সবচে খারাপ কাজটি করে সবার অগোচরে তা হলো কোনো কোনো অন্যায়ের ব্যাপারে এবং ইসলাম ও মুসলমানের জন্য ইতিবাচক কিংবা উৎসাহবর্ধক সংবাদ বিষয়ে বোবা শয়তানের ভূমিকা গ্রহণ করে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ঘটনা উল্লেখ করা যাক। বিউটি পার্লার হিসেবে পারসোনার অনেক নামডাক রয়েছে। রাজধানী জুড়ে অনেক শাখা রয়েছে পারসোনার। শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ পারসোনার বনানী শাখা থেকে একটি লুকানো ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পারসোনা কর্তৃপক্ষ এবং এক আইনজীবী মহিলা গ্রাহকের সঙ্গে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে হৈ চৈ পড়ে যায়। প্রত্যেক মিডিয়ায় খবরটি ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু পারসোনার মালিক ব্যক্তিগতভাবে প্রথম আলো সম্পাদকের বন্ধু হওয়ায় পত্রিকাটি লাগাতার এ বিষয়ে নিরবতা পালন করে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটে একটি ছবি প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যায় পারসোনার মালিক কানিজ আলমাসের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় করমর্দন করছেন মতিউর রহমান। এ ঘটনায় সেকুলার পাঠকরাও প্রথম আলোর ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হন।