সত্য কথা বললেই যদি হাজী সাহেবের মুখ খারাপ বলা হয় তাহলে তারা আবার কিভাবে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী দাবি করেন? তারা কীভাবে পরমত সহিষ্ণুতার পাঠ দেন? বিপক্ষ মত সহ্য করার কথা বলেন? কীভাবে তারা অন্যদের উগ্রবাদী আর মৌলবাদী বলেন? খোদ তারাই কি প্রতিক্রিয়াশীল অশুভ শক্তি নন? তারা আজ তাদের পুরনো যত আদর্শিক শত্রু রয়েছে, সবাইকে এই আন্দোলনের মাধ্যমে ঘায়েল করতে চাইছে। কাউকে এর বিপক্ষে কোনো যৌক্তিক প্রশ্নও তুলতে দিচ্ছে না। গণদাবির চেয়ে গোষ্ঠী ও শ্রেণীগত দাবিই বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এই হলো নাস্তিকদের প্রকৃত সততা।
নাস্তিকরা তাদের রাজনৈতিক গুরুর বিরুদ্ধে বললে স্বাধীন মত প্রকাশের কথা বলেন না, অথচ শত কোটি মানুষের প্রিয়তম ব্যক্তিত্ব, সর্বাধিক ভালোবাসার পাত্র মানবতার মুক্তির দূত নবী মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্বোধ কিংবা বিবেকহীন সমালোচনা করা হলে, তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন কটূক্তি করা হলে দোহাই দেয়া হয় এই মত প্রকাশের স্বাধীনতার! নেতার সমালোচনা করায় তৎক্ষণাত চাকরি হারায়, দিন না পেরোতেই জেলে বন্দি করা হয় অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমালোচনা এবং ইসলামকে তীব্র কটাক্ষকারী উন্মাদ ব্লগারদের রাষ্ট্র দেয় নিরাপক্তার জন্য গানম্যান! নাস্তিকদের ভণ্ডামি আর দ্বিমুখী নীতির দৃষ্টান্তের অভাব নেই।
মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারীরা ইন্টারনেট ব্লগগুলোয় যে ভাষা ও ভঙ্গি প্রচার করে বেড়ান, তা তাদের অন্তরালের জীবনের মতোই ঘৃণ্য। অকল্পনীয় অশ্লীল এবং অসহনীয় মিথ্যায় ভরা। অথচ এ দেশের বাম-নাস্তিক অধ্যুষিত মিডিয়াগুলো বরাবর তাদেরই পক্ষ নিয়ে এসেছে। এও এক দ্বিচারিতা। আবার এদের ভণ্ডামি আর মুখোশ উন্মোচনের উদ্যোগ নেয়ায় বামনিয়ন্ত্রিত সরকারও এমন উদ্যোগ নেয় যা শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভণ্ডামির অন্যতম। ইসলামপন্থী মিডিয়ায় নাস্তিক ব্লগারদের ইসলাম ও রাসূল অবমাননার সংবাদ প্রকাশ হলে যখন সারা দেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তখন তাদের বিরুদ্ধে নামকাওয়াস্তে ব্যবস্থা নিয়ে এসব প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়! আর ‘উস্কানি’ ও ‘ধর্মাবননা’র অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অন্যায় মানুষের সামনে তুলে ধরা মাহমুদুর রহমানকে। রাসূলকে কটুক্তি করা অপরাধ নয়; কটুক্তির সংবাদ প্রচার করা অপরাধ। কী বিচিত্র মুসলিম দেশ! হায় সেলুকাস!