আহমদ শরীফের পর তার ভাবশিষ্য গণধিকৃত ও দেশান্তরিত সস্তা লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবং তার মতো আরেক জ্ঞানপাপী ড. হুমায়ুন আজাদ বর্তমান প্রজন্মের নাস্তিকতায় পথিকৃতের ভূমিকা রাখেন। ইউকিপিডিয়ায় তাঁর ধর্ম পরিচয়ে লেখা আছে, ‘স্বঘোষিত নাস্তিক’। সেখানে তাঁর বিশ্বাস ও দর্শন উপশিরোনামে বলা হয়েছে, ‘হুমায়ুন আজাদ ছিলেন স্বঘোষিতনাস্তিক। তাঁর অন্যতম প্রণোদনা ছিল প্রথা-বিরোধিতা। কবিতা, উপন্যাস ও রচনা সর্বত্রই তিনি প্রথাবিরোধী ও সমালোচনামুখর। তিনি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিকেই মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ গড়ার পক্ষে অনুকূল বলে মনে করতেন। [প্রাগুক্ত]
হুমায়ুন আজাদ রাড়িখালের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইন্সটিটিউশনথেকে ১৯৬২সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর ১৯৬৪ সালেঢাকা কলেজথেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র আজাদ ১৯৬৭সালেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি এবং১৯৬৮সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় ক্ষেত্রেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৭৬ সালে তিনিএডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেভাষাবিজ্ঞানেপিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল বাংলা ভাষায় সর্বনামীয়করণ। তাঁর স্ত্রী লতিফা কোহিনুর। তাঁর দুই কন্যা মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ এবং একমাত্র পুত্র অনন্য আজাদ। হুমায়ুন আজাদ১১ আগস্ট২০০৪ সালেজার্মানিরমিউনিখশহরে মৃত্যুবরণ করেন।[প্রাগুক্ত]
১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রবন্ধের বই নারী। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালে বইটি নিষিদ্ধ করে। অবশ্য ৪ বছর পর ২০০০ সালে বইটি আবার পুনর্মূদ্রিত হয়। তাঁর লিখিত ‘আমার অবিশ্বাস’ (১৯৯৭), ‘ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য’ (২০০৪), ‘প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে’ (১৯৯২) ‘১০,০০০, এবং আরো একটি ধর্ষণ’ (২০০৩), এবং ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ (২০০৪) প্রভৃতি বইতে চরম ধর্মবিদ্বেষ ও জ্ঞানপাপের পরিচয় দিয়ে ধর্মবিশ্বাস বিশেষত ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্ত কৃপাণ হাতে হামলা চালিয়েছেন। তাঁর লিখিত অনেকগুলো বই থেকে কেবল চরম ইসলামবিদ্বেষী, অরুচিকর ও পাঠকনিন্দিত উপন্যাস ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র আলোচনা উপস্থাপন করছি। এ থেকেই যে কোনো পাঠক লেখকের মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি ও ইসলামবিদ্বেষ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন আশা করি।