ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: জনৈক নারী তার এক বাচ্চাকে উঁচিয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তার কি হজ আছে? তিনি বলেন:

«نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ».

“হ্যাঁ, তবে সাওয়াব তোমার”।[1] ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

[1] ছোট বাচ্চাদের হজ সহীহ, তবে ফরয হজের পক্ষে যথেষ্ট হবে না, বরং নফল হবে, সাবালক হওয়ার পর সামর্থ্যের মালিক হলে পুনরায় হজ করা জরুরি।

শাইখ ইবন বায রহ. এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন: “হজের ক্ষেত্রে বাচ্চারাও বড়দের মত, বড়রা বাচ্চাদের হয়ে ইহরাম ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করবে যদি বাচ্চাদের বয়স সাত বছরের কম হয়। আর যদি সাত বছরের বেশী হয় তাদের ইহরাম শিখিয়ে দিবে, যেমন ছেলে হলে বলবে: সেলাই করা কাপড় খুলে ফেল, চাদর ও (সেলাই বিহীন) লুঙ্গি পর ও মাথা খোলা রাখ। বাচ্চা যদি সাত বছরের কম হয় একটি কাপড় পেঁচিয়ে মাথা খোলা রাখবে, জামা ও পায়জামা খুলে ফেলবে, কাপড় পেঁচিয়ে দিবে যেন সতর প্রকাশ না পায়। বাচ্চা বড় হলে বলবে, এটা কর ওটা কর ইত্যাদি। মেয়েদের ইহরাম তাদের চেহারায় শরীরে নয়, সে তার ইচ্ছামত স্বাভাবিক পোশাক পরিধান করবে”। ফতোয়া নুরুন আলাদদারব।

বাচ্চা পাবে হজের সাওয়াব, মা-বাবা পাবে সাহায্য করার সাওয়াব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ “যে কোনো ভালো কাজ দেখাল তার জন্য রয়েছে কর্তার সমান সাওয়াব”। মুসলিম, হাদীস নং ৩৫০৯। -অনুবাদক।