যার সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যাবে যে, সে বেনামাযী হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জানাযা পড়া জায়েয হবে না। কেননা সে কাফির, মুরতাদ। ক্ববরস্থান বাদে অন্য কোথাও গর্ত করে তাকে সেই গর্তে ফেলে দেওয়া উচিৎ, তার জানাযাই পড়া উচিৎ নয়। এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোনো খাতির-সম্মান নেই। কেননা পরকালে ফির‘আঊন, হামান, ক্বারূন ও উবাই ইবনে খালাফের সাথে তার হাশর হবে।
তবে তার অবস্থা সম্পর্কে জানা না থাকলে অথবা সন্দেহ থাকলে তার জানাযা পড়তে হবে। কেননা অমুসলিম প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সে একজন মুসলিম হিসাবেই গণ্য হবে। অবশ্য ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কারো সন্দেহ থাকলে সে জানাযার সময় একটু ব্যতিক্রম দো‘আ পড়লে কোনো সমস্যা নেই। দো‘আতে সে বলবে, اَللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مُؤْمِنًا فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ ‘হে আল্লাহ! সে যদি মুমিন হয়, তাহলে তাকে তুমি ক্ষমা কর এবং তার প্রতি রহম কর’। কেননা যারা তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেনার অভিযোগ তুলে, তাদের ক্ষেত্রে এরূপ ব্যতিক্রম দো‘আ এসেছে। সেজন্য স্বামী যখন তার স্ত্রীকে অভিশাপ করবে, তখন পঞ্চমবার বলবে,
﴿أَنَّ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِن كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ﴾ [سورة النور: 7]
‘যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহ্র লা‘নত’ (নূর ৭)। অনুরূপভাবে স্ত্রীও পঞ্চমবার বলবে,
﴿أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِن كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ﴾ [سورة النور: 9]
‘যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়, তবে তার নিজের উপর আল্লাহ্র গযব নেমে আসবে’ (নূর ৯)।