দা‘য়ীর চরিত্রে ইলমের প্রভাব তার ঈমান, ইবাদাত, স্বভাব ও সব ধরনের আচরণে পরিলক্ষিত হতে হবে। সে যেন আল্লাহর পথে সত্যিকার দা‘য়ীর নমুনা হয়। আর যদি দা‘য়ী তার আমলের বিপরীত হয় তবে শীঘ্রই তার দাওয়াত ব্যর্থ হবে, যদিও সাময়িক কিছু দিনের জন্য সফল হতে পারে।
অতঃএব, ইবাদাত, লেনদেন, স্বভাব চরিত্র ও চলাফেরা ইত্যাদি যেসব দিকে দা‘য়ী দাওয়াত দিবে সে সব ব্যাপারে তাকে উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হতে হবে যাতে সে গ্রহণযোগ্য দা‘য়ী হয় এবং সে যেন প্রথম জাহান্নামী না হয়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা:
আমরা আমাদের বাস্তব অবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখি যে, আমরা দাওয়াত দেই এক দিকে কিন্তু আমরা সে কাজটি করি না। এটা অবশ্যই অনেক বড় বিভ্রাট ও গলদ। তবে হ্যাঁ, যদি আমাদের মাঝে ও তার মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকে যা অধিক যুক্তিসঙ্গত। কেননা প্রত্যেক স্থান ও অবস্থাভেদে কথা বলতে হয়। কখনও কখনও ক্ষেত্র বিশেষ উত্তম জিনিস তুলনামূলক ভালোয় পরিণত হয়, আবার তুলনামূলক ভাল জিনিস উত্তম জিনিসে পরিণত হয়। এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে মাঝে কিছু গুণের দিকে আহ্বান করতেন, অথচ তিনি এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি মাঝে মাঝে এমনভাবে সাওম পালন করতেন দেখলে মতে হতো তিনি কখনো সাওম ছাড়া থাকেন না। আবার মাঝে মাঝে এমনভাবে সাওম ছাড়া থাকতেন দেখলে মনে হতো তিনি যেন সাওম পালন করেন না।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
আমি দা‘য়ীকে এমনসব উত্তম আখলাকে চরিত্রবান হতে বলি যা একজন দা‘য়ীর জন্য খুবই জরুরী, যাতে সে সত্যিকারের দা‘য়ী হতে পারে। তার কথা যেন মানুষ গ্রহণ করে।