এই শ্রেণীর অনুগত্য তিন ভাবে হতে পারেঃ-
(ক) আল্লাহ্র বিধানে অসন্তোষ প্রকাশ করে অথবা তা অপছন্দ করে গায়রুল্লাহর বিধানকে পছন্দ করে তাঁর অনুগত্য করা। এর ফলে মুসলিম ‘কাফের’ হয়ে যায়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,
“এটা এ জন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তাঁরা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাঁদের কর্মসমূহ নিষ্ফল করে দেবেন। (মুহাম্মাদঃ ৯) আর এ কথা বিদিত যে, একমাত্র কাফেরদেরই যাবতীয় আমল নিষ্ফল করা হয়।
(খ) গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। তবে এ কথা মনে প্রানে বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ্র বিধানই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মানুষের জন্য অধিক কল্যাণকর। কিন্তু কোন কুপ্রবৃত্তিবশে, কোন লোভ বা লাভের খাতিরে গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। এ অনুগত্যে মুসলিম কাফের হবে না। যেহেতু শে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করে না। বরং স্বার্থবশে তা পালন করে না। সুতরাং তাকে ফাসেক বলা যাবে।
(গ) না জেনে গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। অথবা সে মনে করে যে, সেটাই আল্লাহ্র বিধান। এ ক্ষেত্রে দুই অবস্থা হতে পারেঃ-
একঃ তাঁর পক্ষে আল্লাহ্র বিধান জানা সম্ভব। কিন্তু সে জানার চেষ্টা করে না। অথচ মহান আল্লাহ অজানা বিধান উলামার নিকট জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
“তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদের জ্ঞিজ্ঞাসা কর;” (নাহলঃ ৪৩, আম্বিয়ামঃ ৭) এ অবস্থায় সে গোনাহগার হবে।
দুইঃ তাঁর পক্ষে আল্লাহ্র বিধান জানা সম্ভব নয়। সুতরাং সে কোন আলেম, নেতা বা সরকারের অন্ধানুকরন করে। এমতবস্থায় তাঁর কোন অপরাধ হবে না। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তিকে বিনা ইলমে (ভুল) ফতোয়া দেওয়া হয়, তাঁর পাপ বর্তে মুফতীর উপর।” ৭৭ ( আবু দাঊদ ৩৬৫৭, ইবনে মাজাহ ৫৭, দারেমী ১৫৯ নং)
এ অবস্থায় যদি অন্ধঅনুকরণকারীর অপরাধ গণ্য করা হয়, তাহলে তাতে বড় সমস্যা দেখা দেবে এবং ভুলের আশংকায় কেউ কেউ আলেমের কথায় ভরসাই রাখবে না। ৭৮ (ইবনে ঊষাইমীন)