কোন মুসলিম কোন ব্যভিচারিণী নারীকে বিবাহ করতে পারে না। বরং ঐ ব্যাপারে ঐরূপ নারী মনোমুগ্ধকর সুন্দরী রুপের ডালি বা ডানা কাটা পরি হলেও মুসলিম পুরুষের তাতে রুচি হওয়াই উচিৎ নয়। একান্ত প্রেমের নেশায় নেশাগ্রস্থ হলেও তাকে সহধর্মিণী করা হারাম। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক বলেন,
“ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা অংশীবাদিনীকে এবং ব্যভিচারিণী কেবল ব্যভিচারী অথবা অংশীবাদী পুরুষকে বিবাহ করে থাকে। আর মুমিন পুরুষদের জন্য তা হারাম করা হল।”(নূরঃ ৩)
সুতরাং অসতী নারী মুশরিকের উপযুক্ত; মুসলিমের নয়। কারণ উভয়েই অংশীবাদী; এ পতির প্রেমে উপপতিকে অংশীস্থাপন করে ও করে একক মা’বুদের ইবাদতে অন্য বাতিল মা’বুদকে শরীক। (অবশ্য অসতী হলেও কোন মুশরিকের সাথে কোন মুসলিম নারীর বিবাহ বৈধ নয়।)
পক্ষান্তরে ব্যভিচারিনী যদি তওবা করে প্রকৃত মুসলিম নারী হয়, তাহলে এক মাসিক অপেক্ষার পর তবেই তাকে বিবাহ করা বৈধ হতে পারে। গর্ভ হলে গর্ভাবস্থায় বিবাহ বন্ধন শুদ্ধ নয়। প্রসবের পরই বিবাহ হতে হবে। ৫৫১(ইউঃ ২/৭৮০)