কুরবানীর সাথে একটি ভাগ আকীকার উদ্দেশ্যে দেওয়া যথেষ্ট নয়। যেমন যথেষ্ট নয় একটি পশু কুরবানী ও আকীকার নিয়তে যবেহ করা। কুরবানী আকীকার জন্য পৃথক পৃথক পশু হতে হবে। অবশ্য যদি কোন শিশুর আকীকার দিন কুরবানীর দিনেই পড়ে এবং আকীকা যবেহ করে, তাহলে আর কুরবানী না দিলেও চলে। যেমন, দুটি গোসলের কারণ উপস্থিত হলে একটি গোসল করলেই যথেষ্ট, জুমআর দিনে ঈদের নামায পড়লে আর জুমআহ না পড়লেও চলে, বিদায়ের সময় হজ্জের তওয়াফ না করলেও চলে, যোহরের সময় মসজিদে প্রবেশ করে যোহরের সুন্নত পড়লে পৃথক করে আর তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়তে হয় না এবং তামাত্তু হজ্জের কুরবানী দিলে আর পৃথকভাবে কুরবানী না দিলেও চলে। ৪৬৩ (মানারুস সাবীল ১/ ৩৬৬)
আকীকার বিধান কুরবানী মতো হলেও আকীকার পশুতে ভাগাভাগি যথেষ্ট নয়। সুতরাং একটি উট বা গরু ২, ৩, ৪, ৫, ৬ বা ৭ টি শিশুর তরফ থেকে আকীকা যথেষ্ট হবে না। যেহেতু প্রথমতঃ কুরবানীর মতো আকীকার বিধানে ভাগাভাগি বর্ণিত হয়নি। অথচ ইবাদতসমূহ প্রমাণসাপেক্ষ। দ্বিতীয়তঃ আকীকা হল জানের ফিদয়া স্বরূপ। আর ফীদয়াতে ভাগাভাগি হয় না। যেহেতু একটি জানের বিনিময়ে একটি জানই প্রয়োজন। ৪৬৪ (ইবনে উষাইমীন)