কুরবানী ঘরে থাকা অবস্থায় দিলেও একটি গরু কুরবানীতে সাত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবে, অনুরূপ সফরে বা হজ্জে থাকলেও ভাগাভাগি করা চলবে। অবশ্য এক সপ্তমাংস ভাগ থেকে কম দেওয়া চলবে না। তবে এক সপ্তমাংস ভাগের বেশি দিতে হবে। যেমন একটি গরুতে দুই, তিন, চার, পাঁচ বা ছয় জনও সমানভাবে অথবা কমবেশি ভাগ নিয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তবে কারো ভাগ যেন এক সপ্তমাংস থেকে কম না হয়। সুতরাং কেউ অর্ধেক, কেউ এক তৃতীয়াংশ ও কেউ এক ষষ্ঠাংশ ভাগ কুরবানী ভাগ দিতে পারে।
একটি গরুতে যদি সাতজনকে শরীক হওয়া বৈধ হয়, তাহলে তার থেকে আরও কম জনের শরীফ হওয়া অধিকরূপে বৈধ হবে। আর যেটুকু বেশি দেবে, সেটুকু তাদের তরফ থেকে নফল হবে। যেমন যার একটি ছাগল দিলে চলত, সে যদি একটি গরু অথবা উট দেয়, তাহলে তার তরফ থেকে তা নফল গণ্য হবে।
ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেছেন, “শরীকরা যদি সাতজন অপেক্ষা কম হয়, তাহলেও তা যথেষ্ট। অতিরিক্ত ভাগ দিয়ে তারা নফল করে। যেমন যাকে ছাগল দিতে হবে, সে যদি উট দেয়, তাহলে তাও যথেষ্ট হবে। আর ছাগল থেকে যা বেশি, তা হবে নফল।” ৪৬০ (কিতাবুল উম্ম ২/২৪৪)
কাসানী বলেন, “এতে কোন সন্দেহ নেই যে, গরু কিংবা উট সাতজনের কম ব্যক্তির তরফ থেকেও কুরবানী বৈধ। যেমন একটি গরু বা উটে ২, ৩, ৪, ৫ বা ৬ জন শরিক হতে পারে। যেহেতু যখন সাত ভাগের এক ভাগ কুরবানী বৈধ, তখন তার বেশি অধিকরূপে বৈধ। চাহে তাদের সকলের অংশ একই রকম হোক অথবা ভিন্ন রকম। যেমন কারো অর্ধেক, কারো তিন ভাগের এক ভাগ এবং কারো ছয় ভাগের এক ভাগ; অবশ্য সাত ভাগের এক ভাগ থেকে কম যেন কারো না হয়।” ৪৬১ (বাদাইয়ুস স্বানায়ি ৫/১৭)